শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ভূরুঙ্গামারীতে জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে হাটের বেচা কেনা বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে ক্রেতা বিক্রেতা 

মোঃ মাহবুব হোসেন    |   রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

ভূরুঙ্গামারীতে জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে হাটের বেচা কেনা বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে ক্রেতা বিক্রেতা 
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চৌধুরীর বাজার হাটের জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে মামলা দায়েরের কারণে বন্ধ রয়েছে হাটটির দৈনন্দিন বেচা কেনা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ক্রেতা বিক্রেতাসহ স্থানীয়রা। মামলার কারণে সৃষ্ট জটিলতায় ১ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। জানাগেছে, সম্প্রতি চৌধুরী বাজারের হাট সেড নির্মাণের জন্য স্থানিয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রভাতি প্রকল্প ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে।  প্রকল্প বাস্তবায়নে পুরাতন হাট সেড ভেঙ্গে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করলে হাটের ৩২ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে ভূমি মালিকগণ হাটের মাঝখানে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে।

শুধু তাই নয় এ নিয়ে গত ৩০ মার্চ কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ (২য়) আদালতে মামলা দায়ের করেছে জমির মালিকানা দাবিদাররা। এতে বিজ্ঞ আদালত কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জবাব দিতে বলেন। কিন্তু  সরকার পক্ষ যথাসময়ে জবাব প্রদান নাকরায় বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে হাটসেড নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তিতে সরকার পক্ষ আপত্তি দাখিল করলে আদালত তা মঞ্জুর করে। স্থায়ি বাসিন্দা আবুল কালাম, মন্জুরুল ইসলাম ও ব‍্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, মামলা মোকাদ্দমার কারণে হাট বসছে রাস্তার উপর। এর ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। বৃষ্টিতে মালামাল ভিজে যাচ্ছে।  বঙ্গসোরাহাট ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা লিটন মিয়া জানান, জনগণের সুবিধার্থে ১৯৬৬ সালে চৌধুরী বাজারটি চালু করা হয় এবং তখন থেকে অদ্যাবধি নিয়মিত সরকারিভাবে হাট ইজারা প্রদান চালু এবং ইজারা লব্দ অর্থ সরকারিভাবে জমা হয়ে থাকে। যা সায়রাত (সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জমি) রেজিস্টারভুক্ত রয়েছে। তিনি জানান, হাটের নামে ৮৯ শতাংশ জমি আর.এস রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে।
জমির মালিকানা দাবী কারীদের একজন ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী জানান, মালিকানা দাবীকারীদের  অনেকেই এলাকায় নাথাকায়  বিষয়টি মীমাংসা করা যাচ্ছেনা। তবে শীর্ঘই বিষয়টি মীমাংসা  করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী হারুন উর রশীদ জানান, মামলা মোকাদ্দমের কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। মীমাংসা  হলে কাজ শুরু হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, সকল কাগজপত্র সরকারের পক্ষে হলেও তারা কেন জমি দাবী করছে তা বুঝতে পারছিনা। তাদের কাগজ পত্র চাওয়া হচ্ছে কিন্ত দেখাচ্ছেনা। আলোচনা করে দ্রুত সমস‍্যা সমাধানের ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৮:৩০ | রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com