নয়া দিল্লি :সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের এক উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হিসেবে, ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য রমজান মাসে রোজা রাখছেন৷
গত নয় বছর ধরে, সুধা আগারওয়াল প্রতি বছর মাসব্যাপী রোজা রাখছেন। তিনি উত্তরাঞ্চলে হিন্দুদের পবিত্র অযোধ্যা শহরের একজন অধিবাসী, তিনি বলেছেন যে মুসলমান প্রতিবেশী ও ধর্মীয় নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে তিনি রোজা রাখা শুরু করেছেন।
এক হিন্দু গৃহবধূ বলেন, “আমার মুসলমান বন্ধুরা আমাকে এই অঞ্চলের কিছু মসজিদে কয়েকজন ধর্মীয় নেতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর থেকে, আমি তাদের ধর্মীয় আলোচনা শোনার জন্য সে সব জায়গায় নিয়মিতভাবে যেতাম এবং ইসলামের শিক্ষায় মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমি মুসলমানদের কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে চেয়েছিলাম এবং আমি রোজাকে বেছে নিয়েছিলাম,”
তিনি বলেন, “রোজা রাখার কারণে আমি আমার মুসলমান বন্ধু ও প্রতিবেশীদের আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। প্রতি রমজানে আমি কমপক্ষে একদিন একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকি এবং আমার মুসলমান প্রতিবেশী ও বন্ধুদের আমার বাড়িতে দাওয়াত দিই। আমরা সবাই একসাথে ইফতার করি এবং আমি এক অনন্য অনভূতি পেয়ে থাকি যেন আমার মুসলমান প্রতিবেশীরা আমার ভাই ও বোন”৷
অন্য যে সব হিন্দুরা এই অনুশীলনকে গ্রহণ করে নিয়েছেন তারাও আগারওয়ালের কাহিনীর প্রতিধ্বনি করেছেন। তার মতো, তারাও বলেছেন যে মুসলমানদের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে তারা এই প্রথাকে গ্রহণ করে নিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কবির চৌধুরী বলেছেন, ১৩ বছর ধরে এই প্রথা অনুসরণ করার মাধ্যমে তিনি উপকৃত হয়েছেন যদিও তিনি একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু।
তিনি বলেন, “আমার একজন মুসলমান কর্মচারী রমজান মাসে রোজা রাখতো। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক এবং অত্যন্ত চমৎকার একজন মানুষ। আমি তার দ্বারা এত প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়েছিলাম যে আমি রমজান মাসে রোজা রাখা শুরু করেছিলাম। কিছুদিনের মধ্যেই আমার কিছু দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা সেরে গিয়েছিল এবং আমি জানি যে এই প্রথাটি স্বাস্থ্য ও মনের জন্য অত্যন্ত ভালো।”
তিনি আরো বলেন, “এটা আমাকে সেই সব মানুষদের কষ্ট অনুভব করতে শিখিয়েছে যারা প্রায়ই কয়েক দিন ধরে পেটভরে খেতে পায় না। এটা অন্য মানুষদের দুঃখ-কষ্টের প্রতি আমার হৃদয়কে সচেতন করেছে।” সূত্র: খবর দক্ষিণ এশিয়া
For News : news@shadindesh.com
Like this:
Like Loading...
Related