নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
ঢাকার তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টায় যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের (আরশট-রক) সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এশিয়ার প্রথম শহর হিসেবে ঢাকা উত্তরে মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিনকে ‘চিফ হিট অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগ দিয়েছে আরশট-রক ফাউন্ডেশন।
এ নিয়োগের খবর প্রকাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) সেলিম রেজা বলেন, বুশরা আফরিনকে ‘চিফ হিট অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ ডিএনসিসির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। আরশট-রক ফাউন্ডেশন নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে তাকে কোনও নিয়োগপত্র দেইনি। আমরা তাকে বেতন, অন্য কোনও সুবিধাও দেবো না। ডিএনসিসিতে তিনি কোনও অফিসও করবেন না। তাহলে এটা আমাদের নিয়োগ করার কোনও বিষয়ও না।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলাদেশে অনেকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউনিসেফের মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি যেমন করে, তেমনি আরশট-রক ফাউন্ডেশন তাকে নিয়োগ দিয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই না। তিনি তাদের একজন অফিসার। এখন তিনি শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমাদের যদি কোনও ধরনের সহযোগিতা করেন, সেটা আরশট-রক ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে করবেন। এই ফাউন্ডেশন তাকে দিয়ে না কী অন্য কাউকে দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে সেটা তাদের বিষয়। তিনি সিটি করপোরেশনে বসবেন না, আমাদের থেকে বেতন, গাড়ি, অফিস কিছুই নেবেন না। বুশরা আমাদের কোনও কর্মকর্তা নয়।
জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন শহরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা কাজের অংশ হিসেবে আর্শট-রক চিফ হিট অফিসার নিয়োগ করে। স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামিতে প্রথম বারের মতো চিফ হিট অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। ফ্লোরিডা, চিলি, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের আরও ছয় শহরে একই পদ নিয়ে কাজ করছেন আরও ছয় নারী।
এদিকে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিন সম্পর্কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বুশরা আফরিন একজন সমাজকর্মী এবং পরিবর্তনে বিশ্বাসী। কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে পড়েছেন। পাশাপাশি ঘানার ইনস্টিটিউট অব লোকাল গভর্নমেন্ট স্টাডিজেও পড়াশোনা করেছেন। এই সময়ে, তিনি ঘানার বলগাটাঙ্গায় ‘তাওদেপ’ নামে একটি নারী উন্নয়ন প্রকল্প কাজ করেন।
বুশরা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম এনজিও, শক্তি ফাউন্ডেশনের একজন ব্যবস্থাপনা নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের কাজের পরিবেশের উন্নতি এবং কারখানাগুলোতে পরিবেশগত স্থায়িত্বের সুপারিশ প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রাণী অধিকার সংস্থা, অভয়ারণ্যর পলিসি অ্যাডভোকেট কনসালটেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। করপোরেশন কেন্দ্রিক প্রাণীদের চিকিৎসা এবং কল্যাণে নানা নীতি নির্ধারনী কাজ করেছেন। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে শর্টফিল্ম তৈরি করেছেন, যা বিশ্বের বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম
Posted ১৬:৩১ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain