| মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট
১৭ জুন : বাংলাদেশ আজ ভয়ার্ত ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বর্তমানে একটি সরুদ্ধকর ভয়ংকর পরিস্থিতিতে বাস করছি। আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে মিরপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করে কীভাবে নৃশংসভাবে ৯ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম তারার মৃত্যুতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত শোকসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মাহবুবুল আলম তারা ভাইয়ের এলাকা ফেনীতে প্রকাশ্যে রাস্তায় গাড়িতে আগুন দিয়ে ও গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হলো, নারায়ণগঞ্জে মানুষের পেট কেটে ইট ঢুকিয়ে খুন করা হলো। এসবের জন্য অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা অনৈতিক সরকারই দায়ী। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে প্রশাসনসহ সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর বানিয়ে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে প্রশাসনসহ সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর বানিয়ে রেখেছে বলেও দাবি করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
মাহবুুবুল আলম তারার স্মৃতিচারণ করে মির্জা আলমগীর বলেন, আমাদের রাজনীতিতে দিনে দিনে তারা ভাইদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই নষ্ট সময়ে নষ্ট রাজনীতিতে তারা ভাইদের মতো পথ প্রদর্শকের অনেক বড় প্রয়োজন ছিল। তিনি এমন সময় চলে গেলেন যখন দেশের কোনো মানুষ নিরাপদ নয়। সারাদেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মনে হয় তিনি চলে গিয়ে বেঁচে গেছেন।
তিনি মাহবুবুল আলম তারার মৃত্যু শোককে শক্তিতে পরিণত করে আগামী দিনে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারা ভাই ছিলেন শান্ত-শিষ্ট, দৃঢ়চেতা রাজনীতিক। তিনি আজন্ম বিএনপির একজন একনিষ্ট কর্মী ও সাহসী নেতা হিসেবে কাজ করে গেছেন। পার্থিক কোনো লোভ-লালসা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ।
এ ছাড়া প্রয়াত মাহবুবুল আলম তারার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাইয়ের মেয়ে আইনুন নাহার রেখা, নিকটত্মীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. আমজাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
Posted ১২:৩৪ | মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin