| বৃহস্পতিবার, ০৭ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিংবা প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার বিধান রেখে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২২’ এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, কোনও শিক্ষক চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করবে সরকার। সেই সঙ্গে তার পরিবারকে এককালীন আর্থিক সহায়তাও দেয়া হবে।
তিনি জানান, ঢাকায় ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় থাকবে। সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে শাখা বা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। পরিচালনায় একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকবে। ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকবে। সেখানে শিক্ষকদের জন্য সরকার এবং শিক্ষকদের নিজেদের কিছু অর্থ জমা থাকবে।
এতে ২১ সদস্যের একটি ট্রাস্টিবোর্ড থাকবে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেখানে একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন। সদস্য সচিব মহাপরিচালক কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন শিক্ষক হবেন। তারা তাদের মনোনয়নের তারিখ থেকে ৩ বছরের জন্য ওই বোর্ডে থাকতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকবে। ট্রাস্টের নামে বোর্ড থেকে অনুমোদিত কোনো তফসিলি ব্যাংকে এটা রাখা হবে। এখান থেকে ব্যয় নির্বাহ করা হবে। ট্রাস্ট তার আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবে এবং বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করবে। বার্ষিক প্রতিবেদন পরবর্তী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারের কাছে অর্থাৎ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তারা শিক্ষক ও পোষ্যদের জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী-সন্তানের শিক্ষা সহায়তার জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্য বা বৃত্তি দেবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী-সন্তানের জন্য বৃত্তিমূলক বা অন্যান্য পেশাগত আর্থিক সহায়তা দেবে।’
Posted ০৭:০১ | বৃহস্পতিবার, ০৭ এপ্রিল ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain