| সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
মাহাবুব আলম শ্রাবন, ঢাকা রিপোর্টার: চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি রাত পোহালেই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, পূর্ণ হবে ভাষা আন্দোলনের ৬৫ বছর। বায়ান্নর এই দিনে চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা। সেই দিন ছাত্ররা রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের কঠোর প্রতিজ্ঞা নিয়েই দিনটি পার করেছে ছাত্ররা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী জড়ো হয়। একুশের সকাল থেকেই ছাত্রদের মধ্যে ছিল অস্থিরতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল উত্তেজনা। এক পর্যায়ে ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেন ছাত্রজনতা।
এরপর শিক্ষার্থীরা একটার পর একটা মিছিল নিয়ে গেটের দিকে যাচ্ছিল, তখন মিছিল ঠেকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর জব্বাররা। তাঁদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা, মায়ের ভাষা। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহর থেকেই জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করবে ভাষা শহীদদের। মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার।
সংগ্রামে একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন- শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি, যারা ভাষার জন্য এদিন জীবন দিতে পেরেছিল।
Posted ১৬:০৪ | সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain