শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে : ওবায়দুল কাদের

  |   সোমবার, ০৬ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে : ওবায়দুল কাদের

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন এবং ওই আন্দোলন থেকে উদ্ভূত বিশৃঙ্খল পরিস্থিত এ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে’- বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে, শিক্ষকদের কথা শুনে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। এ মুহূর্তে কোনো আন্দোলনকারী রাস্তায় নেই। আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকেছে। তারা রাস্তায় আছে। তারাও বিতাড়িত হবে।’

‘যখনই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ উসকানিমূলক বক্তব্য এবং প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন তখনই এটা দিবালোকের মতো সত্য হয়েছে যে, আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিএনপি, সরকার হটানোর আন্দোলন করছে- এটা এখন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার।’

এ সময় একটি ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকালকের যে আন্দোলন, এটা ছাত্র-ছাত্রীদের ছিল না। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আহ্বানটি সারাদেশে তারা সিক্রেটলি প্রচার করেছে। এ কারণে সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা ঢাকায় আসে। ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে গতি পাচ্ছে না, তারা ঘরে ফিরে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের ক্যাডাররা অস্ত্র নিয়ে শাহবাগ থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত, সায়েন্স ল্যাব থেকে বিজিবি গেট পর্যন্ত অতঃপর আওয়ামী লীগ অফিস টার্গেট করে তারা।’

কাদের বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না সাধারণ শিক্ষার্থীরা অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা করার কোনো এজেন্ডা নেই। এই এজেন্ডা তাদের, যারা এই আন্দোলনের ওপর ভর করে রাজনৈতিক দাবা খেলায় মেতে উঠেছে।’

আন্দোলন চলাকালীন সাংবাদিকদের ওপর হামলা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলা যদি কোনো ছাত্রলীগকর্মী করে থাকেন, এর প্রমাণ দিন; তালিকাসহ আমি বিচার করব। আপনি আমাকে বলেন, ছাত্রলীগের কারা কারা জড়িত? আপনি আমাকে তালিকা দিন। এ ধরনের হামলায় ওই লোকগুলো তো জড়িত থাকতে পারে!’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী মারুফা আক্তার পপি, গোলাম রাব্বানী চিনু, ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা রাস্তায় নেমে আসেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে শুরু করেন। কিছু কিছু জায়গায় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে রাজধানীসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকরা। এতে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নয়টি দাবি উপস্থাপন করেন। তাদের সব দাবি মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। এখন তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার উচিত।

কিন্তু এরপরও বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন অব্যাহত আছে। সোমবারও রাজধানীর রামপুরা ও আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। অন্যদিকে সচিবালয়ে এদিন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহাণির ঘটনায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২২:৩৭ | সোমবার, ০৬ আগস্ট ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com