শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

পরাজয়ের আতঙ্কে সরকার দিশেহারা : ১২ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

পরাজয়ের আতঙ্কে সরকার দিশেহারা : ১২ দলীয় জোট

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, ‘অবৈধ’ সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বায়স্তবানে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ১২ দলীয় জোট।

শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির পাশের ফুটপাতে এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে সরকার ও সরকারি দলের আচরণ তত ভয়ংকর ও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পরাজয়ের আতঙ্কে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জনগণের ভোটে অবাধ নির্বাচনে এই সরকারের সবচেয়ে বড় ভয়। কারণ জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠনের সাহস তাদের নেই। জনসমর্থনহীন এই সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।

বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করতে করতে সরকার দ্রব্যমূল্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেছে দাবি করে বক্তারা বলেন, মানুষ খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। জনগণের সামনে এখন একটাই চাওয়া, এই লুটেরা সরকারের বিদায়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যা দরকার তা মেনে নিতে হবে। কিন্তু এই সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের রায় অমান্য করেছে। রায়ে বলা হয়েছিলো আরও দুটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এই সরকার সেই রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তা বাতিল করেছে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি মানতে বাধ্য হবে। আমরা বলবো- বাংলাদেশ ও জনগণের স্বার্থে অতি দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলেন, আর নিরপেক্ষ সরকার বলেন আর যে নামেই হোক তা গঠন করুন।

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ফুটপাতের উপরে এবং নিচে প্রায় শতাধিক চেয়ার বিছিয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শতাধিক চেয়ারের মধ্যে ফুটপাতে ৩০টির বেশি চেয়ারে ছিল ১২ দলীয় জোটের নেতারা। আর ফুটপাতের নিচে ২০-২৫ টি চেয়ারে ছিল কর্মীরা। আর কয়েকটি চেয়ারে কর্মরত সাংবাদিকরা বসে ছিলেন।

অর্থাৎ সমাবেশের উপস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সমাবেশে কর্মীর চাইতে নেতার সংখ্যাই বেশি ছিল।

জোট সূত্রে জানা গেছে, আজকের সমাবেশে জোটের কয়েকটি দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়নি। যার কারণে উপস্থিতির সংখ্যা কম ছিল। পারিবারিক কারণে বাংলাদেশে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিবও অংশ নিতে পারেনি। এছাড়া জোটের আরেকটি দলও সমাবেশে অংশ নেয়নি।

সমাবেশে আরও অংশ নেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম, বাংলাদেশ ন্যাপের (ভাসানীর) আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৪৪ | শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com