| সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
দেশে ‘গণতন্ত্র’ নয়, ‘হাসিনাতন্ত্র’ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নয়, হাসিনাতন্ত্র চলছে। হাসিনাতন্ত্রের আদলেই দেশ চলছে। এই আদলে দেশ-বিদেশে সাথে বন্ধুত্ব চলছে। হাসিনাতন্ত্র যদি প্রত্যাহার করতে না পারেন, তাহলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না। গণতন্ত্রের সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হবে না। যেখানে গণতন্ত্র থাকে না, সেখানে সকল পেশার মানুষ অধিকারহীন হয়।,
সোমবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের প্রতীকী অনশনে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি ও সাগর-রুনীসহ সব সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতনের বিচার দাবিতে এ প্রতীকী অনশন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘সাংবাদিকদের তো কোনও রাজনৈতিক দল থাকে না। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করে না। সাংবাদিকরা কারও ক্ষমতায় থেকে নামানোর লড়াইও করে না। তাদের পেশাগত দায়িত্ব সাদাকে সাদা বলা, কালোকে কালো বলা। যা তিনি দেখেন, যা তিনি শোনেন সেটাই লেখেন।’
তিনি বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তো অনেক কিছু হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা দেখলাম সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবাদে একজন হয়তো পুরস্কৃত হয়েছেন। এই পুরস্কারের মধ্যে যদি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নীরব হয়ে যায়, তাহলে তো হত্যাকাণ্ড চলবেই। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে সাংবাদিকরা সরকারের রোষানলে পড়তে চান না বলেই সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্ত হয়েও শনাক্ত হচ্ছে না। জনগণের সামনে প্রকাশ হচ্ছে না। একজন সাংবাদিকের ওপরে আঘাত হানলে যদি সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে সরকার আঘাত আনতে ভয় পায়।’
গয়েশ্বর আরো বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত্রতত্র মামলা হচ্ছে। শুধু আইনের ভাষা নয়, দৈহিক নির্যাতন এবং হত্যার শিকার হচ্ছেন। একজন সাংবাদিকের প্রতি আরেকজন সাংবাদিকের সহমর্মিতা থাকবে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হয়তো কারও কারও ভিন্ন মতাদর্শের থাকতে পারে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, প্রেস ক্লাবের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ খান প্রমুখ।
Posted ২১:১১ | সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain