| রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক : নবগঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সরকারদলীয় একজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী বাহিনী পালন, ভুমি দস্যুতা এবং সংখ্যালঘুর সম্পত্তি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় বাসিন্দারা এ অভিযোগ করেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে তারা রাস্তায় আন্দোলনে নামবেন বলেও জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে মেজবাহুল ইসলাম রানু, সোহরাব হোসেন, আলাউদ্দিন ও ইমুসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, কাউন্সিলর সানাউর রহমান সম্প্রতি সংখ্যালঘুর সম্পত্তি দখল করে নিয়েছেন। স্থানীয় কামারজুরী ইউসুফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাখন চন্দ্র দের বাড়ির জমি কাউন্সিলর ও তার লোকজন দিনের বেলা অস্ত্রের মুখে দখল করে নেন। এ বিষয়ে সংখ্যালঘুর পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি। বরং কাউন্সিলর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির মুখে তারা ভয়ে সন্ত্রস্ত জীবন যাপন করছেন।
তারা বলেন, এর বাইরেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে থানায় জিডি রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা মেজবাহুল ইসলাম রানু বাড়ির দেয়াল নির্মান করতে গেলে তার কাছে কাউন্সিলর ও তার লোকজন চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারপিট ও হত্যার হমকি দেয়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে রানু বলেন, থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ তার মামলা নেয়নি। এর আগে একই গ্রামের সাইফুল ইসলামও থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা না নিলে তারা রাস্তায় নেমে আসবেন। রাস্তা অবরোধসহ যা যা করা দরকার তাই তারা করবেন। তার হাতে জিম্মি হয়ে তারা সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। এই বাহিনীর সদস্যরা হচ্ছেন- রুবেল, সাহাদাত, সাদ্দাম, জুয়েল, আঙ্গুল কাটা বাবু অন্যতম।
Posted ১৩:৩২ | রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin