বঙ্গবাজার বিপণিবিতানসহ আগামীকাল  ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চারটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণী বিতান’, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট পর্যন্ত আট লেনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড)’, ধানমন্ডি হ্রদে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান’ আধুনিকীকরণ শীর্ষক চারটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবে।

আজ  ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন এবং প্রস্তুতির খুটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেন।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতানে পাঁচটি সাধারণ সিঁড়ি ও ছয়টি অগ্নি প্রস্থান সিঁড়িসহ পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিপণি বিতানের প্রতিটি ব্লকের জন্য আলাদা বাহির ও প্রবেশ দ্বার থাকবে। ভবনে বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক কক্ষ এবং প্রতিটি ব্লকের প্রতি তলায় চারটি করে শৌচাগার থাকবে। এছাড়া ভবনের ভূমিতলে ১৬৯টি গাড়ি ও ১০৯টি মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে।

পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট গেট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আট লেনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণির নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৯৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ এই প্রকল্পের আওতায় ১০ কিলোমিটার নর্দমা (ড্রেন), ১০ কিলোমিটার পথচারী হাঁটার পথ (ফুটপাত), ৩টি উড়াল সেতু (ভেহিকেল ওভারপাস), ৩টি পথচারী পারাপার সেতু (ওভারব্রিজ), দুই কিলোমিটার সংরক্ষণকারী দেয়াল (রিটেইনিং ওয়াল), তিনটি মসজিদ, ছয়টি যানবাহন বিরতির স্থান (বাস-বে) ও ছয়টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে। এতে ঢাকা শহরের ভেতরে বাস, ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমার পাশাপাশি বহুলাংশে যানজট নিরসন হবে।