| বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটালেন পেসার আল-আমিন হোসেন। ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে খেলা এই তরুণ বৃহস্পতিবার এক ওভারে আবাহনীর পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ কাপে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আবাহনী। ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪১ রান তুলেছিল আবাহনী। শেষ ওভারে ঝড় তুলে রান বাড়ানোর লক্ষ্য ছিল। কিন্তু বাঁধ সাধেন আল আমিন। টানা চারটিসহ পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ১৪৩ রান করে আবাহনী। পরে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৬১ রানের সৌজন্যে রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ২ উইকেটে জিতেছে ইউসিবি-বিসিবি একাদশ। আবাহনীর ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন সৌম্য সরকার। নিয়মিত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান। ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য আল-আমিন শেষ ওভারটি করতে আসেন। প্রথম বলে মেহেদি মারুফকে বানালেন আরাফাত সানির ক্যাচ।
দ্বিতীয় বলে দুই রান। এরপর শেষ চার বলে নাজমুল মিলন, সোহরাওয়ার্দী শুভ, নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও নাবিল সামাদকে ফেরান প্রতিযোগিতায় প্রথম হ্যাটট্রিক করা এই পেসার। এমন ঘটনা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আগে কখনো ঘটেছে কি না, কে জানে। তবে টানা চার বলে চারটি উইকেট, যাকে ক্রিকেটের পরিভাষায় ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’ বলা হয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তা আছে কেবল শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার। ব্যাট করতে নেমে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের জয়ের ভিত গড়ে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল (৬১)। ৫২ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। তবে ১৭তম ওভারে তামিমকে ফেরানোর পর ১৯তম ওভারে মুক্তার আলী ও দেলোয়ার হোসেনকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচটাকে শেষ ওভারের উত্তেজনায় নিয়ে যান পেসার শুভাশীষ রায়। ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় রোমাঞ্চকর ম্যাচটি জেতে ইউসিবি-বিসিবি একাদশ।
Posted ২২:১৫ | বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin