শনিবার ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

উপনির্বাচন ২১ মার্চই হবে: ইসি সচিব

  |   বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট

উপনির্বাচন ২১ মার্চই হবে: ইসি সচিব

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপের মধ্যে জনস্বাস্থ্যে হুমকি দেখছে না নির্বাচন কমিশন। উপ-নির্বাচন আগামী ২১ মার্চই অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা হাত ধুয়ে ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে আবার হাত ধোবেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির বৈঠক শেষে একথা বলেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর।
ইসি সচিব বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকাতার কারণেই এ নির্বাচন করতে হবে। ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচন হবে। তবে ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটিসহ আরও দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের বিষয়ে পরবর্তিতে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান ইসি সচিব।

করোনাভাইরাসে ইতিমধ্যে প্রথমবারের মতো দেশে একজন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। এ পরিস্থিতিতে সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করার পর বিএনপিসহ সচেতন মহল থেকে দাবি উঠেছিল এই তিন আসনের উপনির্বাচন পেছানোর।

সে দাবি নাকচ করে দিয়ে ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। এই নির্বাচন বন্ধ করলে সুবিধা কি এবং না করলে কি সুবিধা- এসব বিবেচনা করে সব মিলিয়ে ২১ মার্চ নির্বাচন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসের কারণে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে সেখানে হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

সচিব বলেন, ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন যাতে বন্ধ হয় এ ধরনের কোনো অনুরোধ প্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশন সচিবের ভাষায় তারা এ বিষয়ে অনেক শ্রম ও টাকা-পয়সা খরচ করেছেন। এখন যদি নির্বাচন বন্ধ করা হয় তাহলে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নতুন করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করলে তাদের অনেক টাকার অপচয় হবে। এসব কথা চিন্তা করে ভোটের দিন না পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া দেশে করোনাভাইরাস এখনো মহামারি আকারে ছড়ায়নি। তাই ভোট হবে।

তিনি বলেন, একজন ভোট দিলেও সেটা ভোট। আমরা চিন্তা করেছি খুব ভালো পরিবেশে যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম ছিল, তাই করোনার কারণে ভোটার কম হবে এটা ধরেই নেয়া হয়েছে। তাই করোনার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

এসময় সাংবাদিকরা জানতে চান- উপনির্বাচনে এমনিতে ভোটারদের উপস্থিতি কম হয়। আবার করোনার কারণে ভোটার সংখ্যা কমে যাবে কিনা। এই ধরনের প্রশ্নের উত্তরে মো. আলমগীর বলেন- আমরা চিন্তা করেছি খুব ভালো পরিবেশে যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম ছিল, তাই করোনার কারণে ভোটার কম হবে এটা ধরেই নেয়া হয়েছে। তাই করোনার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

এই ভোটের কারণে যদি কেউ সংক্রামিত হয় কিংবা এর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে এর দায় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নেবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। প্রতিটি বুথের পাশে ব্যানার থাকবে। কি করণীয় ব্যানারে তার দিক নির্দেশনা থাকবে।

মো. আলমগীর বলেন, করোনা এখনো মহামারি আকারে ছড়ায়নি। এজন্য কমিশন নির্বাচনটা সম্পন্ন করা যুক্তিযুক্ত মনে করছে। তবে করোনার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হবে ধরে নিয়েই আমরা নির্বাচন করছি।

তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি যেহেতু কম হবে, সেহেতু নির্বাচনের কারণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিও কম হবে। এছাড়া আপনারা হাত ধুয়ে ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে আবার হাত ধোবেন, তাহলেই হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, এসএম আসাদুজ্জামান, জনসংযোগ পরিচালক মোহা. ইসরাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২২:২৭ | বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com