ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়নি বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার।
তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অগ্রিম টিকিটের যাত্রায় সব ট্রেন মোটামুটি সময়মতো কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে। ঈদে সার্বিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে একটু সময় লাগবেই। এতে করে যাত্রীরাই সুবিধা পাবেন।
শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) কমলাপুর রেলস্টেশনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ সারোয়ার বলেন, বেশিরভাগ ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দুই মিনিটের জায়গায় চার মিনিট পর্যন্ত যাত্রা বিরতি দিচ্ছে। এতে করে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে নামতে পারছেন। এখন প্রতিটি ট্রেন ওভারলোড হয়ে যাচ্ছে। ওভারলোড মানে শতভাগ যাত্রী যাচ্ছে প্রতিটি ট্রেনে। এই যাত্রীদের সঙ্গে বাচ্চা, লাগেজ আবার অনেক বৃদ্ধ মানুষ যাতায়াত করছে।
তিনি আরও বলেন, আগে যেখানে প্রতি স্টেশনে দুই মিনিট বিরতি দিত এখন সেটা লাগে চার মিনিট। যাতে মানুষ নিরাপদে যেতে পারে। এভাবে দুই মিনিট করে ১০টা স্টপেজে বিরতি দিলে ২০ মিনিট হয়ে যাবে।
স্টেশন ম্যানেজার বলেন, অনেকেই বিলম্বকে শিডিউল বিপর্যয় বলে থাকে। তবে এটা শিডিউল বিপর্যয় না। একটি ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত না হলে কোনো ট্রেনকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যায় না।
তিনি বলেন, সাধারণত এক থেকে দুই ঘণ্টা ছাড়তে দেরি হলে সেটাকে বিলম্ব বলা হয়। যেমন দুই ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেনটি ছেড়ে গেল। এখন ঈদযাত্রায় আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টাকে মার্জিনাল ডিলে বলা হয়।
এদিকে ট্রেনে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন আজ। শুক্রবার ছুটির কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদযাত্রায় যাত্রীর চাপ সামাল দিতে যুক্ত হয়েছে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন।
আজ ভোর থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে আসতে থাকেন যাত্রীরা। তাদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মে একের পর এক ট্রেন ভিড়ছে। সকাল থেকে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। তবে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে ভিড় ছিল বেশি। যাত্রীরা বলছেন, স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে ট্রেনে টিকিট করেছেন তারা।
Like this:
Like Loading...
Related
