| সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সুযোগ রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্বাচনী আইন ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, যেহেতু এখন আর সংসদ অধিবেশন বসবে না। তবে আইনটি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বলবৎ করে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে।
আইনের ধারা ২ এ ইভিএমের বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আইনে বলা হয়েছে, ইভিএম মেশিনের সঙ্গে ইন্টারনেটের কোন সংযোগ থাকবে না। ফলে হ্যাক করে মেশিনকে প্রভাবিত করা যাবে না।
সচিব জানান, ইভিএম নিয়ে কেউ কারচুপি করলে এবং তা প্রমাণ হলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে। সর্বোচ্চ সাত বছর আর সর্বনিম্ন তিনবছর সাজার কথা বলা আছে এতে।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বে আরপিও সংস্কারের জন্য একটি কমিটি করা হয়। আরপিও সংস্কারের বিষয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত নেয়া হয়। মাঠ কর্মকর্তা ও সংলাপে পাওয়া সুপারিশ পর্যালোচনা করে এই কমিটি সুপারিশ তৈরি করে।
এরপর গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক সভায় আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব চূড়ান্ত করে ভেটিংয়ের (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলিটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়। ভেটিংয়ের পর এটি গত সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্য থাকলেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণের বিরোধিতা করছে। তাদের আশঙ্কা এই ব্যবস্থায় সরকার ভোট কারচুপি করবে।
এছাড়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে কমিশনের এ সংক্রান্ত বৈঠক ত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
Posted ১৮:০৪ | সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain