কঠোর কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অনেকে প্রশ্ন করেন, এ সরকার তো ক্ষমতা যেতে চায় না। আমরাও জানি, এমনি এমনি কি আর যেতে চায়? সরকার যাতে ক্ষমতা ছেড়ে যায় সেই ব্যবস্থা করবার জন্যই তো এ পদযাত্রা, রোডমার্চ। সেই ব্যবস্থা করবার জন্যেই আমরা আরও বৃহত্তর কঠোর কর্মসূচি দেবো এবং আমরা সবাই মিলে দেবো।

তিনি আরও বলেন, যে যুগপৎ আন্দোলনের কথা আমরা বলেছি, সেই যুগপৎ কর্মসূচির মধ্যে আমরা আছি। যুগপৎ পদ্ধতির মধ্যে কর্মসূচির আওতায় আমরা এরকম কর্মসূচি দেবো, যখন সরকারের আর কথা বলার দায় থাকবে না। আমরা সেই আন্দোলন গড়ে তোলবার চেষ্টা করছি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এখন থেকে নাকি তারা প্রতিরোধ করবেন। আমাদের লড়াইটা জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াই। এ লড়াইকে নাকি তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেউলিয়া হয়ে গেছে, এটাই তার প্রমাণ। এটা হচ্ছে পতনের আগ মুহূর্তে লম্ফঝম্প। এ লম্ফঝম্প দিয়ে টিকে থাকা যাবে না। অবশ্যই ক্ষমতাকে ছাড়তে হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ সরকারের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ আর এ সরকারকে দেখতে চায় না। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, সোজা পথে হাঁটেন, সিরাতুল মোস্তাকিম ধরেন। কিভাবে পদত্যাগ করবেন ঠিক করেন।

তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্র মঞ্চ সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে লড়াইকে আমরা এগিয়ে নেব, এবার মানুষের বিজয় হবে, বাংলাদেশ জিতবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১৪ দফা দাবিতে পদযাত্রা হয়। পদযাত্রাটি পল্টন মোড় হয়ে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক গিয়ে শেষ হয়।

আগামী ২৮ মে ঢাকার মালিবাগ রেলগেট থেকে বাড্ডা পর্যন্ত পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। এরপর আগামী ৪ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ করবেন তারা।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারি, স্থায়ী কমিটির সদস্য সিরাজ মিয়া প্রমুখ।