শনিবার ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ আর সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না: এবি পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ | প্রিন্ট

রিজার্ভ আর সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না: এবি পার্টি

গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত না করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর সরকারের পতন কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ‘আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি’র নেতারা। বুধবার দুপুরে বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তারা।

এতে বক্তব্য রাখেন দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও পার্টির অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ। এসময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব ও দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনসহ অন্যান্য নেতারা।

সোলায়মান চৌধুরী বলেন, দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু আসলে কি উন্নয়ন হয়েছে? না কি উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে! সেটা একটা বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, পাঁচটি ধানে যদি একটি চাল উৎপাদন হয় তাকে আমরা কি উন্নয়ন হিসেবে গ্রহণ করবো? কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। যা সরকারের বিভিন্ন সিন্ডিকেট সদস্যরা করেছে।

এবি পার্টির আহ্বায়ক অভিযোগ করে বলেন, দেশের মানুষ কাজ পাচ্ছে না অথচ প্রতিবেশী একটি দেশের হাজার হাজার মানুষ এখানে অবৈধভাবে কাজ করছে, দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো জবর দখল করে দলীয় লোকজনের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। যার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল জনগণের আমানত যেনতেন ভাবে নিজেদের পকেটে ঢুকানো।

তিনি বলেন, রিজার্ভ আজ শূন্য হতে চলেছে। দেশ আজ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার চোরাবালিতে আটকে গেছে।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এই সরকার কম গণতন্ত্র বেশি উন্নয়নের শ্লোগান দিয়ে দেশের মানুষ ও বুদ্ধিজীবী মহলকে বোঝাতে চেয়েছে, তারা দেশকে সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডের মতো উন্নত দেশে পরিণত করবে। তাদের কাছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার গুরুত্বপূর্ণ নয়, তথাকথিত উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে সরকার দলীয় লোকজন ও কিছু আমলা। প্রকৃতভাবে এখন আমরা কি দেখতে পাচ্ছি, দেশে রিজার্ভের পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলারে, যদিও সরকার বলছে এর পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন ডলার।

তিনি আরও বলেন, বহু বছর ধরে দেশে ঘাটতি বাজেট দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলো আজ লুটপাট হয়ে গেছে। সিপিডি বলছে ৯২ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুটপাট হয়েছে ২৪টি পার্টিকুলার অনিয়মের মাধ্যমে যা বাংলাদেশের ব্যাংকের গোচরে হয়েছে। খেলাপি ঋণ এখন দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার ওপরে, যা ২০০৮ সালে ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎখাতের লুটপাটে পৃথিবীতে অনন্য রেকর্ড গড়ার মতো বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের মূল কারণই হচ্ছে একটি অনির্বাচিত দখলদার সরকারের ক্ষমতায় বসে থাকা। রিজার্ভের পতন ও ডলারের দরপতনের সঙ্গে এই অবৈধ ডামি সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৯:৫৮ | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(845 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com