নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও সদস্য, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আপনারা যে সংবিধানের দোহাই দেন সেই সংবিধানকে আপনারা টুকরো টুকরো করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৪ দিন হরতাল করেছেন। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জবাই দিয়েছেন। ৭ তারিখের নির্বাচনে সংবিধানকে আরেকবার জবাই করেছেন।’
বুধবার ১৭ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাবন্দী সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে খুব দ্রোহ অবস্থা বিরাজ করছে। কিছুদিন আগে এদেশে অগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যে নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি শূন্যতায় ছিল। অনেকেই বলে আমাদের আন্দোলন সফল হয়নি। আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। আমরা হরতাল অবরোধের ডাক দিয়েছিলাম কিন্তু আওয়ামী লীগ বাস পুড়িয়ে রেললাইন উঠিয়ে ফেলেছে এবং রেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করে ৭ তারিখের নির্বাচন করেছে। সেই নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোট দিতে যায়নি তারা সেই নির্বাচন গ্রহণ করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। অথচ তারা নিজেরাই দাবি করে তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক। তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক হলে বাংলাদেশের এ করুন অবস্থা কেন? কেন মৃত ব্যক্তিকে ভোট দিতে হয়? কেন দিনের ভোট রাতে হয়? কেন ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়?’
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, তাতী দলের যুগ্ম আহবায়ক ড. কাজী মনির, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম মিয়া, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, গণতন্ত্র ফোরামের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, আব্দুল্লাহ আল নাঈম প্রমুখ।
Posted ০৮:৫৫ | বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain