মঙ্গলবার ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ হাজার আখ চাষির পাওনা ৩২ কোটি টাকা

  |   মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট

৫ হাজার আখ চাষির পাওনা ৩২ কোটি টাকা

ঝিনাইদহ থেকে টুটুল বিশ্বাস:

ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকল কর্তৃপক্ষের (মোচিক) কাছে আখ চাষিদের পাওনা রয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা। প্রতিদিন কারখানায় ধরনা দিলেও মিলছে না ঘাম ঝরানো পাওনা টাকা। চাষাবাদের মূলধন হারিয়ে অনেকটা দিশেহারা তারা। চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে মিলের সাড়ে ৫ হাজার আখ চাষি। দ্রুত টাকা পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে চাষিরা।এদিকে ঝিনাইদহ জেলার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান হল মোবারকগঞ্জ চিনিকল। মিল সূত্রে জানা যায়, চলতি চিনি উৎপাদন মৌসুমে এক লাখ ৮ হাজার ৪২৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৮ হাজার একশ ৩২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষিদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা মূল্যের আখ কেনা হয়েছে। ৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। প্রায় ৩২ কোটি টাকা চাষিদের পাওনা আছে।চাষিরা বলছে, তাদের নগদ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। আখ চাষে দেওয়া ঋণ কেটে নেয়া হয়েছে। এখন চরম অর্থ সংকটে পড়েছে তারা। টাকার অভাবে শ্রমিকদের মজুরি ও আখ বহনের ট্রলি ভাড়া দিতে পারছে না। সংসার খরচ চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।বলিদাপাড়া গ্রামের আখ চাষি রমজান আলী জানান, গত বছর ৩ একর জমিতে আখ চাষ করেছিলেন তিনি। মিলের কাছে আখ বিক্রির এক লাখ টাকা পাওনা আছে। টাকার জন্য দিনের পর দিন ঘুরছেন। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ টাকা দিচ্ছে না। এতে অন্য আবাদও করতে পারছেন না তিনি।আখ চাষি আব্দুল আজিজ জানান, এ বছর মিল কর্তৃপক্ষের কাছে দেড় লাখ টাকা পাবেন তিনি। প্রতিদিন মিলে এসে টাকার কথা বললে মোচিকের এমডি কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। বলছেন টাকা এলে সময় মতো পাবেন।মোবারকগঞ্জ চিনিকল আখ চাষি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু বলেন, ‘দীর্ঘ একমাস যাবৎ মিল কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার ধরনা দেওয়ার পরও তারা টাকা দিচ্ছেন না। পাওনা টাকার দাবিতে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। দ্রুত টাকা পরিশোধ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী শিকদার জানান, বর্তমানে গুদামে ৫ হাজার টন চিনি মজুদ রয়েছে। বাজারে প্রচলিত অন্যান্য চিনির চেয়ে এর দাম বেশি। তাই চিনি বিক্রি হচ্ছে না। এছাড়াও মন্ত্রণালয় থেকে টাকা না পাওয়ায় চাষিদের পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৪৯ | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com