শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০০ কিমি বেগে ওড়িশায় আছড়ে পড়লো ‘ফণী’

  |   শুক্রবার, ০৩ মে ২০১৯ | প্রিন্ট

২০০ কিমি বেগে ওড়িশায় আছড়ে পড়লো ‘ফণী’

পূর্বাভাসের চেয়ে ৫-৬ ঘণ্টা আগেই স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। শুক্রবার সকালেই ২০০ কিমি বেগে ওড়িশায় আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। গত তিনদিন উপগ্রহ চিত্রে গতিবিধির ওপর নজর রাখার পর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, শুক্রবার বেলা তিনটার সময় বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড় ফণী। কিন্তু তার আগেই সকাল সাড়ে ৯টার কিছু আগে ওড়িশায় ঢুকে পড়ল ফণী।

এর আগেই দিল্লির আবহাওয়া দফতরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা কেন্দ্রের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে কোনও এক সময়ে ফণী আছড়ে পড়বে পুরী সংলগ্ন গোপালপুরে। এরপর সেটি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে।

ফণী আঘাত হানার আগে থেকেই ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার-এর হিসাব অনুযায়ী, গত ২০ বছরে এই অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এর আগে ১৯৯৯-এ এই মাত্রায় পৌঁছনো সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, ফণী দিঘা উপকূল দিয়ে ঢুকে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে। কিন্তু প্রভাব পড়বে এই গতিপথের দু’ধারের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির উপকূল এবং নিচু এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পানি, বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার পাশপাশি এবং গাছ-বাড়ি ভেঙে পড়লে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো বাহিনী জেলায় জেলায় তৈরি রাখা হচ্ছে।

বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে দিঘা, বকখালি, মন্দারমণি ও সুন্দরবন এলাকায়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জলের পাউচ তৈরি করে রেখেছে। নবান্নে ১০০ জনের কুইক রেসপন্স টিম মজুত রাখা হচ্ছে।

সেচ দফতরের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে বিভিন্ন বাঁধে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি টেলিফোন সংস্থাগুলির মাধ্যমে উপকূল এলাকায় এসএমএস এলার্ট দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে ৪৫৪টি সাইক্লোন সেন্টারে উপকূল এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের রাখা হবে। ৬ মে যে সমস্ত এলাকায় নির্বাচন রয়েছে, সেখানে ব্যালট বাক্স এবং ভোটকর্মীদের ঠিক মতো পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে।

নতুন নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের সব কর্মীর ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত জেলার র্যাপিড রেসপন্স টিমকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে এমন এলাকায় প্রতিটি মেডিকেল কলেজ, জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্তরের হাসপাতালে চিকিৎসকদের দল বিপর্যয় পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকবে। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও প্রস্তুত থাকবেন। স্বাস্থ্যভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিদ্যুৎ ভবনের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত কর্মী রাখার পাশাপাশি জেলার অফিসগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ছুটিও বাতিল হয়েছে কর্মীদের।

বাংলাদেশ জার্নাল

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:১৩ | শুক্রবার, ০৩ মে ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com