শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারের শঙ্কায় বিজেপি

  |   মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০১৯ | প্রিন্ট

হারের শঙ্কায় বিজেপি

‘অব কি বার ৪০০ পার।’ এই স্লোগান দিয়েই এবারের ভোটযুদ্ধ শুরু করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জুটি। সাত দফার ভোটের পঞ্চম দফা শেষ হয়েছে সোমবার। পঞ্চম দফার ভোটের পর দেশটির ক্ষমতাসীন এই রাজনৈতিক দলের নেতারাই বলছেন, চারশ’ দূর অস্ত, ৫৪৩ আসনের লোকসভায় ২৭১ আসনে জয় পাওয়াই এখন বিজেপির জন্য কষ্টসাধ্য।

বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। একাধিক রাজ্যে বিজেপির নির্বাচনী বৈতরণী পারের দায়িত্ব তার কাঁধে রয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে বিজেপি।’ তবে রাম মাধবের বিশ্বাস, জোট হিসেবে সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার অর্জন করে নেবে এনডিএ। অর্থাৎ তার দাবি অনুযায়ী, বিজেপির নেতৃত্বেই কেন্দ্রে সরকার গঠন হবে।

চার বছর আগের নির্বাচনে বিজেপি যে জয় পেয়েছিল ২০১৯ সালে সেটির পুনরাবৃত্তি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির এই নেতা। তবে তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির আসন বাড়বে। দক্ষিণাঞ্চলেও দলের ভালো ফলের ব্যাপারে আশা করছেন তারা। দেশের বাকি অংশে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া আসন সংখ্যা কমিয়ে দেবে বলে মনে করছেন রাম মাধব।

শুধু বিজেপির এই নেতাই নন, একই সুর শোনা গেছে দেশটির ক্ষমতাসীন এই দলের শরীক শিবসেনার নেতাদের কণ্ঠেও। শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ‘বিজেপি একা সরকার গড়তে পারবে না। তবে জোট হিসেবে এনডিএ’র সরকার গঠনে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’ লোকসভার ভোটযুদ্ধের শেষের দিকে এসে ক্ষমতাসীন দল ও শরিকদের এমন সুর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা।

সোমবার পঞ্চম দফায় দেশটির সাতটি রাজ্যের ৮ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন। দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, বিজেপির প্রবীণ রাজনীতিক রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি-সহ অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর আসনেও ভোট হয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য বলছে, পঞ্চম দফায় ভোট পড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। ভোটগ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।

প্রচার-পর্বের মতোই ভোটগ্রহণের দিনও তপ্ত ছিল আমেথির আবহাওয়া। আমেথিত নির্বাচনী সম্মুখ-সমরে অংশ নিয়েছেন রাহুল গান্ধী এবং স্মৃতি ইরানি। বিজেপি প্রার্থী ইরানির অভিযোগ, লোক পাঠিয়ে বুথ দখল করিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। কংগ্রেস যদিও সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি ভোটের দিন রাহুল কেন নিজের কেন্দ্রে আসেননি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্মৃতি ইরানি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:৪৮ | মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com