সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্টেডিয়াম দেখতে বিদেশ যাবেন ২০ কর্মকর্তা, বরাদ্দ ৭০ লাখ

  |   শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট

স্টেডিয়াম দেখতে বিদেশ যাবেন ২০ কর্মকর্তা, বরাদ্দ ৭০ লাখ

চার কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মানিকগঞ্জ জেলায় আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রকল্প’ নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে। অথচ নির্দিষ্ট সময়ে কোনো কাজই হয়নি। এরপর এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও এক বছর। সেই মেয়াদও শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং প্রকল্পের টাকা ব্যয় হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণে।

প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফায় শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানই নিয়োগ দিতে পারেনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এখন নতুন করে সময় বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

এখানেই শেষ নয়, চার কোটি ৯৮ লাখ টাকা প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে শুধুমাত্র কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণলব্ধ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। এই টাকায় ২০ কর্মকর্তা অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডে যাবেন সেখানকার স্টেডিয়ামগুলো কিভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং কিভাবে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে। প্রকল্প সম্পর্কিত দলিল থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন এবং ইংল্যান্ডের একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম সরেজমিনে দেখার জন্য। এই স্টেডিয়ামগুলো দেখে তারা এই স্টেডিয়ামগুলো কিভাবে এত দীর্ঘস্থায়ী হলো সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবেন।

প্রকল্প অনুযায়ী দুইবারে ১০ জন করে ২০ কর্মকর্তা যাবেন দুই দেশে।

এই ১০ জনের দলে তিনজন কর্মকর্তা থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে, চারজন থাকবেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে, দুইজন পরিকল্পনা কমিশনের এবং একজন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) থেকে।

এ বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. শাহ আলম সরদার বলেন, বিভিন্ন কারণে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি এবং তারা মন্ত্রণালয়কে সময় চেয়ে চিঠি দিয়ে দিয়েছে। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, এটি অনেক বড় একটি প্রকল্প, এজন্য কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি মন্ত্রণালয় আমাদেরকে নতুন করে সময় দেবে।

শিক্ষাসফরে বেশী বাজেট বরাদ্দের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শাহ আলম বলেন, তারা ভালো ভালো স্টেডিয়ামগুলো দেখতে চেয়েছিলেন, যাতে তাদের অভিজ্ঞতাটা এই প্রকল্পে কাজে লাগে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাসফরের ব্যাপারে পরিবর্তন আসতে পারে। কারণ করোনার কারণে এখন বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রয়েছে। এবং কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সূএ:পূর্বপশ্চিমবিডি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৪৫ | শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com