শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

সুরঞ্জিতের আসনে নৌকার হাল পরিবার থেকেই

  |   শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট

সুরঞ্জিতের আসনে নৌকার হাল পরিবার থেকেই

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-সাল্লা) আসনে আওয়ামী লীগের হাল ধরছেন কে? দলের ভেতরে বাইরে শুরু হয়ে  গেছে আলোচনা। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়াত এই নেতার পরিবারই দলীয় হাইকমান্ডের বিবেচনায় রয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সুনামগঞ্জের দিরাই-সাল্লায় সেন পরিবারের প্রভাব অনেক। এ এলাকার মানুষের সাথে তাদের সম্পর্ক অনেক পুরানো। তাই দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে সেন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার থাকবে।

নেতারা বলেন, দিরাইয়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার বিষয়েও সেন পরিবারের অবদান অনেক। তাই এ পরিবারের যে কেউ মনোনয়ন পেতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে আলোচনায় আছেন সুরঞ্জিত পরিবারের দুই জন। এদের একজন প্রয়াত নেতার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ডক্টরেট। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার শিক্ষা বিভাগে সমন্বয়কারী পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালনে তিনি যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। অন্যদিকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অসুস্থ থাকার কারণে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।

অন্যদিকে সুরঞ্জিত-জয়া দম্পত্তির একমাত্র সন্তান সৌমেন সেনগুপ্তও বিবেচনায় আছেন। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক এবং কানাডা থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে ব্যবসায়ী।

বাবার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে আসার আগ্রহের কথা বলেছেন সৌমেন। বলেছেন, বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, দাদার আসনে বৌদি (জয়া সেনগুপ্ত) কিংবা তাঁর ছেলে সৌমেন সেনগুপ্তের যে কোন একজন মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি বলেন, ‘সুরঞ্জিতের স্ত্রী হিসেবে জয়া দীর্ঘ সময় অনেক অভিজ্ঞ, মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদের সংস্পর্শে থেকে অনেক কিছু শিখেছেন, যা দেশ ও জাতির জন্য কাজে লাগবে। এ জন্য তিনি বিবেচনায় থাকবেন।’

এই নেতা আরও বলেন, ‘যদি বৌদি কোন কারণে রাজনীতিতে আগ্রহী না থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে সৌমেনকে দল বিবেচনা করতে পারে।’

জানতে চাইলে সৌমেন সেনগুপ্ত  বলেন, ‘এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে। তিনি যদি আমাকে মনোনয়ন ও নির্দেশ দেন তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নেবো। প্রধানমন্ত্রী যদি না চান তাহলে অংশ নেবো না। কারণ প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তার নির্দেশের বাইরে আমি এবং আমাদের পরিবার কিছু করবে না।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন  বলেন, ‘এখনও দলে এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। তফসিল ঘোষণা করার পরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন আমাদের সংসদীয় বোর্ড।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৭:১৬ | শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com