নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৬ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
ছাতক প্রতিনিধি : ছাতক উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সদরুল আমিন সোহান নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে একটি অব্যাহতিপত্র প্রদান করা হয়েছে। এর জের ধরে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের প্রয়োজনে সদরুল আমিন সোহানের নিরলস ত্যাগ ও অনবদ্য অবদান এবং জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিগত দিনের নানামুখী বিতর্কিত কর্মকান্ড নিয়ে বেশ কথাবার্তা সামনে আসছে।
জানা যায় সদরুল আমিন সোহান যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কিছুদিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সাংগঠনিক শৃংখলা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে ইতিমধ্যে স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে জেলা কমিটির কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু সে আবেদন আমলে না নিয়ে জেলা কমিটি যে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত দিলেন তা একদিকে যেমন শিশুতোষ গল্পকেও হার মানায়, তেমনি সুনামগঞ্জ জেলার জাতীয়তাবাদী ঘরানার সকল ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অযোগ্যতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় শুধু উন্মোচিত হয়নি, বরং একটি প্রচলিত কথার বাস্তব রূপায়নও ঘটেছে- “আপনা গলি’মে কুত্তা’বি শের হতা হ্যায়”। সদরুল আমিন সোহানের বিরুদ্ধে আনা নিষ্ক্রিতার অভিযোগের জবাব কাগজে কলমে কিংবা গলাবাজিতে নয় বরং বিগত দিনের সরকার বিরোধী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কিংবা দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে তাঁর বীরদর্প উপস্থিতি আজকে যেমন স্বাক্ষ্য দিচ্ছে তৃণমূলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জোরালো প্রতিক্রিয়ায়, তেমনি ভবিষ্যতেও ছাতক তথা সুনামগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গণে সদরুল আমিন সোহান একটি ব্র্যান্ড হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তা নিঃসংকোচে বলা যায়।
জেলা সদরের বাসিন্দা হিসেবে অযোগ্য হয়েও যারা দলের শীর্ষ পদ পেয়ে পদের অপব্যবহার করছেন তাঁদেরকেই মানুষ একসময় অযাচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত অতিক্রিয়ার অপরাধে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। আমরা এহেন অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদকারী- গোলাম রসুল মাহফুজ শিপলু জাকির আহমেদ কবিরী আহসান কবির সদরুল চৌধুরী মইনুল ইসলাম খসরু মুজিবুর রহমান নাদির আলম আব্দুল হক নিজাম উদ্দিন ভাষানি আব্দুল মালেক শামীম আজাদ হোসেন মিঠু প্রমুখ ।
Posted ১৪:১২ | সোমবার, ০৬ মার্চ ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin