| বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে পশুপালকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এসময় এক হাজার বাড়ি-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সুদানের পশ্চিম দারফুর রাজ্যের মানবিক সহায়তা কমিশনার ওমর আবদেলকারিম বলেন, চাদের সীমান্তের কাছে রুক্ষ জেবেল মুন পাহাড়ে সশস্ত্র আরব পশুপালকদের মধ্যে ১৭ নভেম্বর থেকে সহিংসতা শুরু হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৩৫ জনের বেশি নিহত হন। একই সঙ্গে ১৬টি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পশ্চিম দারফুরের গভর্নর খামিস আবদুল্লাহ বলেন, উট লুটপাটকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সূত্রপাত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওই এলাকার কিছু মানুষ প্রতিবেশী দেশ চাদে গেছে বলেও জানান তিনি।
২০০৩ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের পর দারফুর বিধ্বস্ত হয়ে যায়। জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীরা তখনকার সরকার ওমর আল-বশিরের বিরুদ্ধে বৈষম্যর অভিযোগ এনেছিল। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ওই গৃহযুদ্ধে তিন লাখের বেশি মানুষ মারা যান। বাস্তুচ্যুত হন ২৫ লাখ মানুষ।
বশিরের ৩০ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের পর ২০১৯ সালের এপ্রিলে পদচ্যুত হন। এর পর তাকে জেলে পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।
সুদানের রাজনৈতিক সংকট ও সমস্যার সমাধান এখনো হয়নি। গত ২৫ অক্টোবর দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দি ও বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি।
তবে সামরিক কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ধারবাহিক আন্দোলন করতে থাকে দেশটির সর্বস্তরের মানুষ। প্রাণ যায় ৪০ জনের বেশি মানুষের। দেশি-বিদেশি চাপে পরে সামরিক জেনারেল বুরহান হামদককে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হন।
Posted ১৬:০১ | বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain