| বুধবার, ০৫ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘যত দিন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, তত দিন দেশের মানুষ নদীর পানির ন্যায্য হিসাব পাবে না। পানির জন্য আমরা ভুগতেই থাকব। কারণ, বর্তমানে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়, দায়বদ্ধ অন্য দেশের কাছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সাউথ এশিয়া ইউথ ফর পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি সোসাইটি ‘বাংলাদেশ-ভারত পানিবিরোধ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করেছে।
পানিবণ্টন সমস্যাকে আন্তর্জাতিকীকরণ করতে হবে বলে মনে করেন সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়েছিল অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন নিশ্চিত করতে। ঠিক হয়েছিল বছরে ৪টি মিটিং হবে। অথচ ১০ বছরেও কোনো মিটিং হয় না। সরকার ব্যর্থ পানি সমস্যা সমাধানের জন্য।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই সামরিক চুক্তি বাংলাদেশের জন্য কলঙ্কতিলক হয়ে থাকবে। তাঁকে (প্রধানমন্ত্রীকে) অনুরোধ করব, এ ধরনের চুক্তি করার আগে জনগণের মতামত নিন। এমন কোনো চুক্তি করবেন না যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয়।’
সেমিনারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উচিত ভারত সফরে বাংলাদেশের স্বার্থ আদায় করা। পানির সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভুগছি। তিস্তার কারণে উত্তরাঞ্চলে মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, তিস্তা চুক্তি ২০১১ সালে প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত নানা অজুহাতে এই চুক্তি হয়নি। ভারত তার সুযোগ-সুবিধা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আদায় করে নিচ্ছে। উল্টো অভিন্ন নদীগুলোর ওপরে বাঁধ দিয়ে দেশের প্রায় ৪০টি নদী আজ পানিশূন্য।
সেমিনারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারত পানি নিয়ে মানবতাবিরোধী কাজ করছে। মানুষ খুন করলেই মানবতাবিরোধী অপরাধ শুধু হয়, তা নয়। পানির অভাবে, যে কারণে মানুষের মৃত্যু হতে পারে, এটাও মানবতাবিরোধী কাজ।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চরিত্রটা উন্মোচন করা দরকার মন্তব্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিল, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু তার বিনিময়ে ভারতের জন্য বাংলাদেশ এখন বিরাট একটি বাজার রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারে অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘ভারতের নীতি হচ্ছে কর্তৃত্ব করা। তারা প্রতিবেশীকে নতজানু হিসেবে দেখতে চায়। এর ফলে আমাদের নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বড় নদী মরে যাওয়ায় ছোট নদীগুলোও মরে যাচ্ছে।’
Posted ১১:০২ | বুধবার, ০৫ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain