মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

লুটপাটের টাকা জনগণের পকেট কেটে সমন্বয় করছে সরকার: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

লুটপাটের টাকা জনগণের পকেট কেটে সমন্বয় করছে সরকার: গয়েশ্বর

বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের টাকা সরকার জনগণের পকেট কেটে সমন্বয় করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে সবকিছুর দাম বাড়বে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হোক বা না হোক ভারতের আদানিকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করে দেশকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় নিয়ে গেছে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি, দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ মিডিয়া চালুর দাবিতে এ মানবন্ধন আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। এক্ষেত্রে যারা শামিল হতে পারবেন ভালো। আর যারা বিরোধিতা করবেন তারা একাত্তরের রাজাকারের খাতায় নাম লেখাবেন। একাত্তরে একটি ‘শান্তি কমিটি’ করেছিল ইয়াহিয়া খান। তখন যেখানে মুক্তিযোদ্ধা সেখানে শান্তি কমিটির উৎপাত। এখন আবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) আরেকটি ‘শান্তি কমিটি’ করেছেন। যেখানেই আমরা আন্দোলন করতে যাই সেখানেই এই ‘শান্তি কমিটি’ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আর এই শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি তার কথিত শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ওবায়দুল কাদেরকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী দিনে এই শান্তি কমিটিও আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে পারবে না।

গয়েশ্বর বলেন, আমার মনে হয় এখন মুক্তি বা মামলা প্রত্যাহারের দাবি আমাদের কাছে মুখ্য নয়। এই সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। সেই দাবিটাই আমাদের মুখ্য হওয়া দরকার। এই সরকারকে সরাতে হবে। তারপর একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির সমন্বয়ে নতুন সরকার গঠন করতে হবে।

বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক নয় বলে তারা জনগণের কথা ভাবে না, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, কালকে একজন চেয়ারম্যান একটি বক্তব্য দিলো, সেটি হলো-জনগণ থাকবে ঘরে, ভোট দিবেন প্রশাসনে, সন্ধ্যা বেলায় ফলাফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ জনগণকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দিবে না। ভোট দিবে কে? প্রশাসন। প্রশাসন মানে ডিসি, এসপি, পুলিশ। যেটা আপনারা দেখেছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে। প্রতিযোগিতা কত প্রকার ও কী কী। অর্থাৎ কে কত বেশি ভোট চুরি করতে পারে সেটাই প্রতিযোগিতা! ভোট রক্ষার দায়িত্ব পুলিশ-প্রশাসনের, সেই পুলিশকে দিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) ভোট চুরি করায়। তা না হলে তাদের চাকরি থাকবে না।

সরকারকে নিরাপদ এক্সিটের ব্যবস্থা করে দিতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, যারা সরকারি চাকরি করেন, মনে রাখবেন আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। জনগণের টাকায় আপনারা চলেন। দেশটা আমার বা আপনাদের একার নয়। আপনাদেরও সন্তান আছে। তাই দেশের কথা চিন্তা করে একাত্তরের মতো স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

 

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সাংবাদিক নেতা আমিরুল ইসলাম কাগজী ও আইনজীবী আবেদ রাজা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৩৮ | শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com