| বুধবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক নানা অপকর্মের হোতা র্যাব-পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে এখনও হুংকার ছুড়ছেন। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে যারা সাংবাদিকদের নিকট মুখ খুলছেন তাদেরকে র্যাব-পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দিচ্ছে। তরিকুল ইতিপুর্বে মানুষকে কখনও পুলিশ, র্যাব আবার কখনও ডিবি পুলিশ দিয়ে হয়রানি করায় তার হুংকারকে আমলে নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
তাই এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পাশাপাশি সচেতন মহল ত্রাস তরিকুলের ব্যাপারে পুলিশ সুপারসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জীবননগর হাসাদহ পনরসতিপাড়ার কথিত কবিরাজ ওদুদ ফকিরের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক তরিকুলের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই সাধারণ মানুষকে পুলিশ-র্যাব কিংবা ডিবি দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তরিকুল বর্তমানে হাসাদহবাসীর নিকট একটি আতঙ্ক। সরেজমিনে তরিকুলের বিরুদ্ধে তথ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে ভয়ংকর সব চিত্র বের হয়ে আসছে।
তরিকুল, এমপি আস্থাভাজন হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা রীতিমত তার কাছে অসহায়। তার দ্বারা হয়রানির শিকার একটি পরিবার এ প্রতিবেদককে জানান, কোথাও কোন কুল-কিনারা না পেয়ে তারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমলের নিকট যাওয়ার কথা বলে। জবাবে তরিকুল তাদেরকে বলেন, এমপি টগরের সামনে শুধু আমিই বুক উচু করে কথা বলতে পারি, কারণ এমপির নিকট অমল ও তার ভাই ছোট বাবু ধরা খাওয়া, আমি নই। তাই আমার বিরুদ্ধে তাদের নিকট কিছু বলে লাভ নেই।
তরিকুলের হয়রানির শিকার যুবক সবুজ মন্ডলের পরিবারের অভিযোগ, সবুজকে দিয়ে তরিকুল ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে। গত ১ মে মহেশপুর থানা পুলিশ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেন। এ সময় তার অপর সহযোগী বাবু বিশ্বাস কৌশলে পালিয়ে যায়। বাবু বিশ্বাস যুবলীগ নেতা তরিকুলের সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। তাই তরিকুল বলে সবুজ এ ঘটনার জন্য দায়ী। এবং সবুজই ইয়াবাগুলো নিয়ে যাচ্ছিল। আবার ওই তরিকুলই তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে।
বাবু বিশ্বাস ওই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হলেও অভিযোগ উঠেছে তরিকুলই থানা পুলিশকে টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করায় বাবু বিশ্বাস বহাল তবিয়তে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে, তরিকুলের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে সবুজ এখন জেলের ঘাঁনি টানছে। আমাদের সময় ডটকম
Posted ১১:৫৬ | বুধবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain