| সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০২০ | প্রিন্ট
বাসা-বাড়ি থেকে নিয়ে আসা আবর্জনা যাচাই-বাছাইয়ে সেকেন্ডারি ডাম্পিং স্টেশন (এসডিএস) করার কথা থাকলেও তা হয়নি। বরং সড়কের পাশে ময়লা ফেলে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আর সেই স্তূপে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। আবর্জনাভর্তি গাড়ি মূল সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট আর সড়কের পাশে কাজ করায় এতে সৃষ্ট দুর্গন্ধ ভোগান্তি বাড়াচ্ছে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের কোম্পানিঘাট এলাকার বাসিন্দাদের।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোম্পানি ঘাট এলাকায় এসডিএসের অভাবে সড়কের পাশেই ময়লা যাচাই-বাছাই করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত এমন কর্মযজ্ঞ চলছে। শুরুর দিকে ময়লা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ সড়ক থেকে কিছুটা দূরে করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ময়লার স্তুপ পৌঁছে গেছে বেড়িবাঁধ সড়কে। সড়কের কিছু অংশ এখন ময়লার দখলে। ময়লাভর্তি গাড়ি আসছে কিছুক্ষণ পরপরই। এসব গাড়ি দাঁড় করানো হয় বেড়িবাঁধ সড়কের উপর। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নানা অভিযোগ, অনুযোগ এবং ভোগান্তির কথা সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও দীর্ঘদিনেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আজাহার উদ্দিন অভি বলেন, ‘এরা অনেক সময় ধরেই এখানে কাজ করে। সারাদিনই তাদের কাজ চলে। তাদের কাজের জন্য আমাদের চলাচলে সমস্যা হয়। সারাদিন জায়গাটা দুর্গন্ধে ভরে থাকে। এদিকে কারো দৃষ্টি নেই।‘
কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাসিন্দা সানজিদা বেগম বলেন, ‘নিজেরা নাক বন্ধ করে যেতে হয়। বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের নাক মুখ চেপে ধরতে হয়। এত দুর্গন্ধ যেন বমি চলে আসে! দিনের পর দিন এই ভোগান্তি আমরা সহ্য করছি। কিন্তু কারো বুঝি কিছু করার নেই। তাহলে আমরা ময়লার বিল দিই কিসের কারণে?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এভাবে কাজ করছেন। যার ফলে জনগণের পাশাপাশি তিনি নিজেও ভোগান্তিতে পড়েছেন। এসডিএস তৈরির জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই এসডিএস তৈরি হয়ে গেলে এই ভোগান্তির নিরসন হবে।
কাউন্সিলর হোসেন বলেন, ‘আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে এসডিএস করার জন্য দুটি জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছি। একটি হচ্ছে বর্তমানে যেখানে ময়লা ফেলা হয় (কোম্পানি ঘাট)। আরেকটি ব্যাটারি ঘাটে। ব্যাটারি ঘাটে অবশ্য একটা সাব স্টেশন আছে। সেখানে ময়লাগুলো রাখে, রাতে সেখান থেকে নিয়ে যায়। আগে টেন্ডারের মাধ্যমে ময়লা নেয়া হতো। এখন সিটি করপোরেশন এটা বুঝে নিয়েছে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ঠিকভাবে কাজ করছে না বিধায় ময়লাগুলো জমে আছে।‘
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত হলাম। আমি বিষয়টি আমাদের স্থানীয় কর্মকর্তাদের অবহিত করব এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেব। বেড়িবাঁধ সড়কের অনেক স্থানেই ময়লা পড়ে থাকে। এবিষয়ে জনগণকে সচেতন হতে হবে। আমাদের কাউন্সিলররা এবিষয়ে জনগণকে সতর্ক করে চলেছেন। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যত্রতত্র ময়লা না ফেলতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।‘সূএ:ঢাকাটাইমস
Posted ১০:১৭ | সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain