নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতি চাইলে বিএনপি নাম দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।  তিনি বলেন, এই কমিটি গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কী করেন সেটা দেখে বিএনপি তার করণীয় ঠিক করবে।

শুক্রবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠন করবেন- এমন প্রত্যাশা শুধু বিএনপি’র নয়, এদেশে প্রতিটি নাগরিকের।

আগামী মাসের শুরুতেই শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে কমিশনের পর নতুন যারা আসবেন তাদের অধীনেই হবে আগামী সংসদ নির্বাচন। এ কারণে এই কমিশনে কারা আসছেন-এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আগাম সতর্কতা আছে।

নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার এক মাসের সংলাপ শেষ করেছেন গত ১৮ জানুয়ারি। এই সময়ের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে নানা প্রস্তাব দিয়েছে মোট ৩১টি দল। এসব প্রস্তাবের আলোকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠনে আশার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি।’

রাষ্ট্রপতির সংলাপ শেষে কেটে গেছে আরও দুই দিন। এর মধ্যেও বঙ্গভবন থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন।

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সকলের মনে আশার বদলে নিরাশা উঁকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রধান থেকে শুরু করে তাদের সাধারণ সম্পাদক ও শীর্ষস্থানীয় নেতারা যেভাবে ধমকের সুরে কথাবার্তা বলছেন তাতে রাষ্ট্রপতি ইসি গঠনে শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহের উদ্রেক হওয়া অস্বাভাবিক নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নর জবাবে রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যদি নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের পক্ষ থেকে কারোর নাম চান তাহলে আমরা দেব।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করবেন। তাই আগে সার্চ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা দেখব আমরা। এরপর আমরা আমাদের করণীয় প্রসঙ্গে বলব।’

বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মুনির হোসেন প্রমুখ এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।