| বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
এস.এম.আল-আমিন, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (সিএসটি) বিভাগের সভাপতির পদচ্যুতি চেয়ে দ্বিতীয় দফায় ১ম দিনের মত বিভাগের দুই-তৃতীয়াংশের অধিক শিক্ষকবৃন্দ বুধবার কর্মবিরতি পালন করেছে। সকাল ১০ ঘটিকা থেকে ১২ ঘটিকা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলে।
এদিকে বিভাগের কম্পিউটার থেকে সভাপতি প্রফেসর ড. মুসলেহ উদ্দীন বিভাগের সকল প্রয়োজনীয় ডাটা ডিলেট করে দিয়েছে মর্মে গত রবিবার সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দেয় কম্পিউটার অপারেটর সইজ উদ্দিন। এরই জেরে বুধবার অফিসিয়াল কম্পিউটার সভাপতি নিজের দখলে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অপারেটর সইজ উদ্দীন। যার কারনে, বিভাগের অনেক কাজে স্থবিরতা চলে এসেছে বলে জানান বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
কর্মবিরতি পালনকারী শিক্ষকদেরসূত্রে জানা যায়, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি ড মোসলেহ উদ্দিন কর্তৃক উক্ত বিভাগের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বেচ্ছাচারিতার সমাধান উক্ত বিভাগে করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিভাগের দুই তৃতীয়াংশের অধিক শিক্ষক তাঁর প্রতি অনাস্থা এনে তাঁর পদচ্যুতি চেয়ে গত ১০/১২/২০১৬ তারিখে উপাচার্য বরাবর আবেদন করে এবং ১২/১২/২০১৬ তারিখ হতে একাডেমিক ও প্লানিং কমিটির সভা বর্জন করে আসছে। পরবর্তীতে এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য ০১/০১/২০১৭ তারিখে পুনরায় উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছে আন্দোলনরত শিক্ষকগণ। উক্ত বিভাগের সভাপতি বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির অনুমোদন ছাড়া অনেক অর্থ ব্যয় করে কোন শিক্ষককে না জানিয়ে ৪র্থ বর্ষের স্টুডেন্টদের গত ১ মাস আগে গাজীপুর ট্যুরে নিয়ে গেছেন এবং উক্ত বর্ষের স্টুডেন্টদের তাঁর (সভাপতি) সম্পর্কে এসাইনমেন্ট লিখতে বাধ্য করেছেন, যা দিয়ে তিনি তাঁর প্রতি স্টুডেন্টদের আনুগত্য যাচাই করে নম্বর দিবেন। তিনি কোন স্টুডেন্টকে অপছন্দ করলে উত্তরপত্রে অনেক কম নম্বর দেন, যে কারণে প্রতি বর্ষে তাঁর পরিক্ষিত প্রায় অর্ধেক উত্তরপত্র ৩য় পরীক্ষণ হয়।
তিনি ইতোমধ্যে সভাপতি হওয়ার পর জোরপূর্বক বিভিন্ন কোর্সে তাঁর ডিসিপ্লিনের বাহিরে বিভিন্ন কোর্সে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যার ফলে বিভাগের অনেক স্টুডেন্ট তাঁর দ্বারা একাডেমিক ক্রাইমের স্বীকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি নিয়ম অনুসরণ না করে বিভাগে শিক্ষকদের মধ্যে শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে এসি লাগানোসহ বিভাগের সমস্ত জিনিষ ক্রয় করেন। তিনি বিভাগের সভাগুলির সির্দ্ধান্ত কখনও শিক্ষকদের লিখিতভাবে অবহিত করেন না। এমন সব অভিযোগ করেছেন বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষকগন।
বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর সইজ উদ্দীন বলেন, সভাপতি স্যার আমায় অফিসের কম্পিউটারে কাজ করতে নিষেধ করেছেন। অফিসের কম্পিউটার তিনি নিজের কাছে নিয়ে রেখেছেন। তিনি দুপুরের আগে একটি ডকুমেন্টবিহীন অন্য কম্পিউটার সংযোজন করেছেন।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোসলেহ উদ্দীন বলেন, কম্পিউটার নিজের কাছে নেওয়া হয়নি। কৃষি অনুষদের ডীনের উপস্থিতিতে কম্পিউটার সিলগালা করা হয়েছে। কেননা, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে কম্পিউটার থেকে তথ্য মুছে ফেলার। সামনে যে কোন তদন্তের স্বার্থে কম্পিউটার সিলগালা করা হয়েছে। তবে কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম তার উপস্থিতিতে কম্পিউটার সিলগালা করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে রুমে গিয়েছিলাম মাত্র। সেখানে কম্পিউটার দেখেছি তবে আমার উপস্থিতিতে কোন সিলগালা করা হয়নি।
Posted ১০:২৮ | বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin