নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
রাজধানীর পল্টন থেকে যুবদলের এক নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
এর মধ্যে আটক সরফরাজ রূপগঞ্জ থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর বাকি দুজন হলেন আল আমিন ও নাজমুল। তবে নাজমুলের দাবি তিনি বিএনপির কর্মী নন, পথচারী ছিলেন। আর আল আমিন নিজেকে গাড়িচালক হিসেবে দাবি করেন।
মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আবুল হাসান জানান, তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এরা বিএনপির কার্যালয়ে এসে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য নাইটিঙ্গেল মোড়ে যান নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার মহিলা দলের কর্মী সালেহা ও রাঙামাটি জেলা মহিলা দলের সভাপতি নুরজাহান বেগম পারুল।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা তো এখানে কিছু করতে আসিনি আমাদের বিএনপি কার্যালয় দেখতে এসেছি। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
একপর্যায়ে তারা বলেন, আমাদের চাল-ডাল, খিচুড়ি পুলিশ নিয়ে গেছে। সেগুলো খেতে এসেছি।
এর আগে একই এলাকা থেকে বিএনপির আরেক কর্মীকে আটক করা হয়। রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়ে একটি মিছিল করেছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তখন তাকে আটক করা হয়।
এদিকে নয়াপল্টনসহ গুলিস্তান ও আশপাশ এলাকায় পুলিশকে সর্তক অবস্থানে দেখা গেছে। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। একই সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তালা।
মূলত ঢাকায় এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির শুরু শনিবার (১০ ডিসেম্বর) হতে যাওয়া বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে। বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে অনড় বিএনপি।
একপর্যায়ে বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জমায়েত হলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে মকবুল নামে একজন মারা যান। আহত হন অনেকে। গ্রেফতার করা হয় প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীকে।
Posted ০৮:৪০ | শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain