শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মান্দায় জাটকা বিক্রিকালে দুই ব্যবসায়ী আটক : ৬ কেজি জাটকা উদ্ধার

  |   বুধবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট

মান্দায় জাটকা বিক্রিকালে দুই ব্যবসায়ী আটক : ৬ কেজি জাটকা উদ্ধার

Harun Manda Pic-03 11.01মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ  নওগাঁর মান্দা উপজেলা পরিষদ এলাকায় গতকাল বুধবার দুপুরে ফেরি করে জাটকা বিক্রি করাকালে দুই ব্যবসায়ীকে আটকিয়ে প্রায় ৫/৬ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার আজমেরি উপজেলার কাকাইছো ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে রিপন মিয়া (৩০) ও একই এলাকার মহসীন আলী ওরফে মছন আলীর ছেলে আরশাদ আলী (২৬)। পরে বেলা আড়াইটায় জাটকা মাছ গুলো নষ্ট না করে উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও শিশু সদনের এতিমদের মধ্যে বিতরণ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার মন্ডল।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ইলিশ মাছের প্রজনন সময়। এ সময় ইলিশ মাছ তথা মা ইলিশ এবং ছোট ছোট জাটকা মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। জাটকা মাছ আহরণ ও বিপননকারীর ২ বছর কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। সরকার এ সময় সাগরের জেলেদের পরিকবারে মধ্যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে চাল ও টাকা বিতরণ করেন। কিন্তু ঘটনার দিন দুই জন রিপন মিয়া এবং আরশাদ আলী প্রায় ৫/৬ কেজি জাটকা মাছ কিনে এনে প্রকাশ্যে উপজেলায় ফেরি করে বিক্রি করছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মাহবুবুর রহমান এবং অফিস সহায়ক পলাশ কুমার তাদের দু’জনকে আটকিয়ে কোথায় থেকে এবং কেন জাটকামাছ বিক্রি করছেন তা জানতে চেয়ে তাদেও দু’জনকে আটকিয়ে মাছগুলো উদ্ধার করেন।

বাড়ি ফেরার জন্য তাদের কাছে কোন টাকা-পয়সা নেই বলে আটক ব্যাক্তিরা কাকুতি-মিনতি করে কান্না কাটি শুরু করলে পরে তাদের ভ্রাম্যমান আদালতে না নিয়ে বিষয়টি মানবিক দিক বিবেচনা করে ৮টি জাটকা মাছ ফেরত দিয়ে সেগুলো বিক্রি করে বাড়ি ফেরত যাবার ব্যবস্থা করে ছেড়ে দেন। কিন্তু এলাকার কিছু টাউট-বাটপার শ্রেণীর লোকজনসহ ইতিমধ্যে মৎস্য অফিসের অভিযানে আটক ও পরে কারাদন্ড ভোগ করা এবং কারেন্ট,বেড়জাল উদ্ধার করে আগুণে পুড়িয়ে ফেলায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলেসহ কতিপয় স্বার্থনেষি মহল বিষয়টি জেনে সর্বোপরি জাটকা মাছ না খেতে পাওয়ায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার এর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে দেয়। ছোট্র এ ঘটনাটি মূর্হুতে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে তাদের ক্ষতি হতে পারে বলে পলাশ কুমার জানান। তবে ঐ শ্রেণী সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদেরকে ফাঁসিয়ে দিতে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে ক্ষেত্র সহকারী মাহবুবর রহমান দাবী করেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আয়নাল হক জানান, ঘটনার সময় তিনি অফিসের কাজে নওগাঁ ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান জানান, আইন মেনে আমাদের সবার কাজ করা কর্তব্য। আটক ব্যাক্তিদের জুডিশিয়াল ম্যাজিট্্েরট তথা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনের কাছে নিয়ে আসার বিধান। তবে ঘটনা যাই ঘটুক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুর রশিদ বিষয়টি জেনেছেন বলে স্বীকার করেন। তবে তাদেরকে ছেড়ে না দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে সোর্পদ করা উচিত ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:২১ | বুধবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com