সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালো শিক্ষিকা মেয়ে, রক্তে ভেসে গেল ঘর!

  |   বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট

মাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালো শিক্ষিকা মেয়ে, রক্তে ভেসে গেল ঘর!

মায়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মেরেই চললেন শিক্ষিকা মেয়ে। রক্তে ভেসে গেল ঘর। নিজেকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টায় কাকুতি মিনতি করছেন মা, চেষ্টা করছেন মেয়েকেও পাল্টা আঘাত করার। এমনটাই ঘটেছে কলকাতার সল্টলেকের অভিজাত আবাসন জলবায়ু বিহার এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মা দীপালি প্রতিহার (৬৭)। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁর ৪৫ বছরের মেয়ে ঋতুপর্ণাকেও। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে।

আবাসনের বাসিন্দাদের কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, ওই ফ্ল্যাটটি দীপালির স্বামী অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার এস কে প্রতিহারের। তিনজনেই এখন বেঙ্গালুরুতে থাকেন। ঋতুপর্ণা সেখানে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা। গত সোমবার তাঁরা তিনজনেই শহরে আসেন। তবে এস কে প্রতিহার এদিন ঘরে ছিলেন না।

জানা গেছে, আজ বুধবার প্রতিহার পরিবারের বেঙ্গালুরু ফেরত যাওয়ার কথা ছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকেই মা ও মেয়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। দুপুর একটার পর থেকে দীপালির ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ আসছিল বলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে কান্না এবং জিনিসপত্র ফেলার আওয়াজ শুনে তাঁরা ওই ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজান। কিন্তু সাড়া মেলেনি। তখনও ভেতর থেকে আসা কান্নার আওয়াজ থামছে না দেখে কাঠের দরজায় ধাক্কা মারেন কয়েকজন প্রতিবেশী। তখন তাঁরা বুঝতে পারেন, ওই দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল না। ধাক্কা দিতেই তা খুলে যায়। দেখা যায়, ঋতুপর্ণা হাতুড়ি দিয়ে মাকে মারছেন। ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত। মা কাতরভাবে বলছেন তাঁকে ছেড়ে দিতে, কিন্তু মেয়ে তা কানেই তুলছেন না। উল্টো মাকে টানতে-টানতে নিয়ে যাচ্ছেন পাশের ঘরে।

ওই দৃশ্য দেখে বাসিন্দারা খবর দেন থানায়। তবে পুলিশ আসার আগেই ঘরে ঢোকেন প্রতিবেশীরা। এসে পৌঁছায় পুলিশও। প্রতিবেশীরা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ঘরের মধ্যে থাকা কয়েকটি বাক্সে আগুনও ধরিয়ে ছিল মেয়ে। ওই সময় গ্যাসও খোলা ছিল। ফলে, তাঁরা সময়ে না-ঢুকলে বড়সড় বিপদ হতে পারত।

ঋতুপর্ণাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেখান থেকেই তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। কেন তিনি মা-কে প্রবল আক্রোশে মারছিলেন, তদন্তকারীদের কাছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পুলিশের দাবি, ঋতুপর্ণার ব্যবহারে অসঙ্গতি মিলেছে। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চিকিৎসকদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পিছনে সম্পত্তিগত কারণ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেটাও।

ডিসি (সদর) কুণাল আগরওয়াল বলেছেন, কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই পরিবারের আত্মীয়দের সঙ্গেও আমরা কথা বলছি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৪১ | বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com