| বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
যারা দালালি করতে চায় তারা কখনোই সফল হবে না জানিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। তখন সংগঠনবিরোধী কোনো কাজ করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। আর এই সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্যই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বনানীতে দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রতি পার্টির সিদ্ধান্ত গঠনতন্ত্র ও বিধি মোতাবেক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রায় এক বছর ধরে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বিদেশে চিকিৎসাধীন। এছাড়া তিনি হঠাৎ করে নভেম্বরে একটি কাউন্সিল ঘোষণা করেছেন। তিনি আহ্বায়ক হয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দদের যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। অথচ, আমরা কেউই এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আবার যাকে সদস্যসচিব করা হয়েছে তিনি জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্যও নয়। এতে বিরোধীদলীয় নেতার অনুপস্থিতিতে সংসদের অনেক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
রওশনের কাউন্সিল ডাকা নিয়ে চুন্নু বলেন, কাউন্সিল আহ্বানের এখতিয়ার বেগম রওশন এরশাদের নেই। তার সঙ্গে কথা হয়েছিল, আমরা তাকে পরের দিন কাউন্সিল আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি এখতিয়ার বহির্ভূত কাউন্সিল আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেননি। তাই সংসদীয় দলের সভায় জাতীয় পার্টির ২৬ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২৪ জনই এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত।
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ২৩ জন উপস্থিত থেকে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেছেন। আর অপর একজন সংসদ সদস্য বিদেশ থেকে ফেরার কারণে ফোন করে তার সম্মতির কথা জানিয়েছেন। সেই চিঠি চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার স্বাক্ষরে স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্পিকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে স্পিকার নিজেই বলেছেন- তিনি বিধি মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেবেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, যদি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান চান তবেই মসিউর রহমান রাঙ্গা পার্টির রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন। কারণ, কাউকে পার্টিতে ফেরানোর এখতিয়ার শুধুমাত্র জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কেউ দল থেকে চলে যেতে পারে, তাতে দলের কোনো ক্ষতি হয় না। অনেকেই চলে গেছেন, কিন্তু জাতীয় পার্টি তার স্থানেই আছে। জাতীয় পার্টি কেউ ভাঙতে পারবে না। জাতীয় পার্টি এখন অনেক শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ।
জাতীয় পার্টির শীর্ষ এই নেতা বলেন, এখন গঠনতন্ত্রের ২০ ধারার সমালোচনা করছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। কিন্তু যখন মহাসচিব ছিলেন তখন তো এই ধারার কথা কখনোই বলেননি তিনি।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের পার্টির রাজনীতি পরিষ্কার করেছেন। যখন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলছেন, আমরা এখন আর কোনো জোটে নেই, জাতীয় পার্টি কারও দালালি করবে না। তখন হয়তো কারও কারও কষ্ট হতে পারে। যারা দালালি করতে চায়, তারা কখনই সফল হবে না।
দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি থেকে দেশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।
Posted ১৭:৪০ | বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain