| শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুল সালাত মসজিদে এসি বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহতদের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার বিকেল ৩টা থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে নারায়ণগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারি ও নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী লাশগুলো নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শুরু করেন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারি বলেন, নিহত প্রতিজনের স্বজনদের কাছে মরদেহ সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
বিকেল ৪টা পর্যন্ত মৃত্যু বরণ করা ব্যক্তিরা হলেন- কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), হুমায়ূন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুবায়ের (৭), রাশেদ (৩০), কাঞ্চন হাওলাদার (৪০), জয়নাল আবেদিন (৩৮), নয়ন (২৭), রাসেল (৩০) ও মাইনুদ্দিন (১২)।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পর ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত ৩৭ মুসল্লিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবারই ডিপ বার্ন রয়েছে। তবে শতাংশের হিসেবে কোন রোগীর কতটুকু বার্ন হয়েছে তা তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে বলা যায়, কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।
প্রাথমিকভাবে মসজিদের ছয়টি এসি একযোগে বিস্ফোরিত হয় বলে জানা গেছে। মসজিদের নিচ দিয়ে যাওয়া তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
Posted ২১:৩৭ | শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain