শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূরুঙ্গামারীতে উধাও প‍্যাকেটজাত চিনি, খোলা চিনির কেজি ১৪০ টাকা 

মোঃ মাহবুব হোসেন   |   বুধবার, ০৩ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

ভূরুঙ্গামারীতে উধাও প‍্যাকেটজাত চিনি, খোলা চিনির কেজি ১৪০ টাকা 
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উধাও হয়ে গেছে প‍্যাকেটজাত চিনি। অপর দিকে খোলা চিনি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। হঠাৎ চিনির দাম বৃদ্ধি ও বাজার থেকে প‍্যাকেটজাত চিনি উধাও হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ। ফলে খুচরা থেকে পাইকারি বাজারে চিনি নিয়ে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।  সংশ্লিষ্ট ব‍্যবসায়ীরা বলছেন চিনি সর্বরাহকারি বিভিন্ন কোম্পানি ও তাদের ডিলাররা চাহিদামত চিনি সর্বরাহ না করায় এমন সংকট দেখা দিয়েছে।

চিনির দামে লাগাম টানতে গত ৬ এপ্রিল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজির মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও বাজারে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে পণ্যটির দাম। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা। রমজান মাসে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকা, এখন হচ্ছে ১৪০ টাকায়। অন্যদিকে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেমেছে শূন্যের কোঠায়। বুধবার (০৩ মে) সকালে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প‍্যাকেটজাত চিনি কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও খোলা চিনি কোন দোকানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা  আবার কোন দোকানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। চিনির দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও মিষ্টির দোকানে।
জহির উদ্দিন নামের এক ব‍্যক্তি বলেন, রমজানে প্রতি কেজি জিলাপি কিনেছি ১৬০ টাকায় ও মিষ্টি কিনেছি ২৫০ টাকায়। আজ জিলাপি ২০০ টাকা আর মিষ্টি কিনতে হলো ৩০০ টাকা কেজি। উপজেলার সোনাহাট বাজারে কথা হয় রাহিজুল ইসলামের সাথে তিনি জানান, ১ কেজি খোলা চিনি কিনেছেন ১৪০ টাকায়। চা বানানোসহ পিঠা, পায়েশ ও মিষ্টি জাতীয় সকল জিনিস তৈরিতে চিনি অপরিহার্য। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে ক্রয় ক্ষমতা নাগালের বাইরে চলে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদি দোকানদার বলেন, কোম্পানি গুলো প‍্যাকেট চিনি সর্বরাহ বন্ধ রেখেছে। কারণ  প্যাকেটের গায়ে মূল্য লেখা থাকে।  খোলা চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশি লাভের আশায় প্যাকেট চিনি ভেঙে খোলা হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার কাশিম বাজারের ব‍্যবসায়ী মেসার্স মুন্না ষ্টোর এর সত্ত্বাধিকারি জহুরুল হক জানান, সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তেছে। আর প্যাকেট চিনি বাজারে ঈদের আগে থেকেই নাই।
ভূরুঙ্গামারী কলেজ মোড়ের মেসার্স দুধকুমার ট্রেডার্স এর প্রোপাইটর ফরিদুল হক শাহীন শিকদার বলেন, গত কয়েক দিন থেকে আমার দোকানে চিনি নেই। কোন কোম্পানির কাছেও চিনি পাচ্ছি না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুড়িগ্রাম এর উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সর্বরাহ কমের কারণে এমন সমস‍্যা দেখা দিয়েছে। তবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কেউ বাড়তি দামে যাতে চিনি  বিক্রি করতে না পারে এজন‍্য আমাদের অভিযান  অব‍্যহত আছে।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:০৬ | বুধবার, ০৩ মে ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com