| রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল নেতাকর্মীদের ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দলীয় সংগীত বাজিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে মঞ্চের ডান পাশে হঠাৎ দু’টি পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে তারা দৌঁড়ে মঞ্চের পেছনের দিকে চলে যায়। এসময় সামনে-পেছনে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এর আগে সকাল ১০টা থেকেই জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ব্যানার, ফেস্টুন, হেডার, দলীয় প্রতীক ধানের শীষের রেপ্লিকা, নামাঙ্কিত টি-শার্ট পরে দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হন তারা।
ভ্যাপসা গরম ও তীব্র রোদের কারণে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশ স্থলের বাইরে ফুটপাতে, সড়কে ও পাশের রমনা পার্কে জটলা বেঁধেছেন। সমাবেশস্থলের চেয়ে আশপাশেই তাদের অবস্থান বেশি।
যদিও ডিএমপির দেওয়া ২২ শর্তের মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়কে অথবা ফুটপাতে সমবেত হওয়া যাবে না, জনসভার ২ ঘণ্টা আগে মানুষ জনসভাস্থলে আসতে পারবে, মিছিল নিয়ে জনসভায় আসা যাবে না। কিন্তু প্রকৃত চিত্র বলছে, মৎস ভবন মোড় থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকাগুলোতে ছড়িয়েছে সমাবেশে আসা বিএনপি সমর্থকদের অবস্থান।
সমাবেশে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে রেখেছে সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকা। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। ছোট ছোট ইউনিটে ভাগ হয়ে নেতাকর্মীরা নিজ নিজ ইউনিটের নেতার নামেও স্লোগান দিচ্ছেন।
জনসভায় এরইমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদু চৌধুরীসহ শীর্ষ নেতারা।
এদিকে, জনসভার মূল এজেন্ডা সম্পর্কে বিএনপির তরফ থেকে পরিষ্কারভাবে কিছু না বললেও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জনসভায় সাত দফা দাবি ও ১২টি লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করবে বিএনপি।
দাবিগুলো হচ্ছে— খালেদা জিয়ার মুক্তি, সাজা বাতিল, দলটির নেতাকর্মীর নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নতুন মামলা না দেওয়া, তফসিলের আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া ও সরকারের পদত্যাগ, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ না করা, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইভিএম ব্যবহার না করা। পূর্ব-পশ্চিম
Posted ১৫:১৭ | রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain