| রবিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
ভাস্কর্যবিরোধীদের সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে দেবেন না। এখনো দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, আবারো বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।.
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ গায়ে পড়ে আক্রমণ করে না, তবে আক্রমণের শিকার হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে একবিন্দুও পিছপা হয় না। অনেক হয়েছে, এবার থামুন।
কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের অবমাননাকে ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ উল্লেখ করে এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবেই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।.
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশব্যাপী ধর্মীয় বিভেদ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এদেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাস্কর্যের ‘অবমাননা’ দেশের চেতনার মর্মমূলে আঘাত হানা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতার প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ সাংবিধানিকভাবেই বিধিবদ্ধ বিষয়। তাই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা প্রকারান্তরে সংবিধানেরও অবমাননা। দেশের লাখ লাখ সাধারণ মানুষ ও কর্মী আজ ক্ষুব্ধ। তাদের হৃদয়ের আবেগ অনুধাবন করছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে এদেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানে দেশ এবং সংবিধান, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা মানে দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আক্রান্ত করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অর্ধশতকের স্মৃতি বিজরিত মধু’দার ভাস্কর্যের আংশিক ভাঙচুরেরও তীব্র নিন্দা জানান সেতুমন্ত্রী।.
তিনি বলেন, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান সকলের মিলিত রক্তের স্রোতধারায় অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা কোনো নির্দিষ্ট বা সম্প্রদায়ের স্বার্থের কাছে জিম্মি হতে দেবো না।
এসময় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পবিত্র সংবিধান ও দেশের আইন পরিপন্থি কোনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, মন্তব্য ও আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।.
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা দুই মেরুতে অবস্থান করায় সাময়িকভাবে তাদেরকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে তারা এখনও দলের নেতা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো এতোটা বিপদে পড়েনি যে যখন তখন যাকে তাকে দলে জায়গা দিয়ে দল ভারি করতে হবে।.
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল ফারক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্পমন্ত্রী নুরল মজিদ হুমায়ুন ও জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলীসহ অন্যরা।
Posted ১৪:০৬ | রবিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain