শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

বলপ্রয়োগ ও চুমু খাওয়া দুটোই আতঙ্কজনক

  |   মঙ্গলবার, ০৭ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট

বলপ্রয়োগ ও চুমু খাওয়া দুটোই আতঙ্কজনক

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরই বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা হবে আর বলপ্রয়োগ না করে তাদের চুমু খাবে? সুতরাং বলপ্রয়োগ করার কথা তো আপনার সাধারণ সম্পাদকই বলেছেন। সুতরাং দলীয় ক্যাডাররা আপনাদের হুকুমই পালন করছে। বলপ্রয়োগ ও চুমু খাওয়া দুটোই আতঙ্কজনক।

মঙ্গলবার  সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গতকাল তড়িঘড়ি করে মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যদিও এ আইন আদৌ সংসদে পাস হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা। এ আইন নিরাপদ সড়কের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ আইন গণপরিবহনে নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আতঙ্কজনক, উদ্বেগজনক ও ভয়ংকর ইঙ্গিতবাহী ছিল। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, সমানে ঢিল ছোড়া হচ্ছে, আওয়ামী লীগ অফিসকে লক্ষ্য করে তারা পাথর ছুড়ে মেরেছে এবং জানালা-দরজার কাচ ভেঙে একাকার করেছে।

রিজভী বলেন, একটা ঘটনা দেখে আপনারা বুঝতে পারেন। বিডিআর গেটে হামলা, সেখানে গুলিবর্ষণ হচ্ছে, এই অস্ত্রটা কোথা থেকে এলো? কারা গুলি করল? পুলিশ যে অস্ত্রধারীদের পাহারা দিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি করাচ্ছে, লাঠিপেটা করাচ্ছে, তারা কি বিরোধী দলের লোক হতে পারে? এটা কি পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়? পুলিশ আর ছাত্রলীগ-যুবলীগ একাকার। এটা দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, আর মিথ্যাচার করে তাদের রক্ষা করতে চেষ্টা করছেন।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এ নেতা বলেন, মনে রাখবেন, দেশ-বিদেশের মানুষ ও গণমাধ্যমের চোখ ঝাপসা হয়ে যায়নি। অস্ত্রধারী ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের নাম ধরে ধরে ছবি প্রকাশ হয়েছে। সুতরাং ছাত্রলীগের হাতে কীভাবে এ অস্ত্র এলো, কীভাবে তারা গুলি করল, প্রধানমন্ত্রী দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবকে জিজ্ঞাসা করুন।

বিএনপির তিন নেতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে উসকানির অভিযোগে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার উসকানির কথা বলে মামলা দিয়েছে বিএনপির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের নামে। বিএনপি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। সমর্থন দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সরকারের ভুল ধরিয়ে দিয়েছে। আপনারা তাদের সাধুবাদ জানালেন যদি উসকানির পর্যায়ের না পড়ে, তাহলে বিএনপি কোথায় উসকানি দিল? কিন্তু মামলা দেওয়া হলো বিএনপি নেতাদের নামে। পূর্ব-পশ্চিম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:৩০ | মঙ্গলবার, ০৭ আগস্ট ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com