| বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
লন্ডনে বসে তারেক রহমান ষড়যন্ত্র করে সরকার পতন ঘটিয়ে ক্ষমতা যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আর মির্জা ফখরুল প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এ স্বপ্ন কখনো সফল হবে না। আওয়ামী লীগ ছোট ও দুর্বল সংগঠন না যে আপনার হুমকি আর আন্দোলন দিয়ে সরকার পতন হয়ে যাবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’
আজ দুপুরে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যে মুক্ত, তার দণ্ড স্থগিত। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। তিনি দেশের মধ্যে যেকোন জায়গায় চিকিৎসা নিতে পারেন এবং উনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর থেকে কি মানবিকতা আশা করতে পারেন। এর চেয়ে মানবিকতা দেখানোর সুযোগ কোথায়। এরপরও বিএনপির নেতারা মানিবকতার কথা বলছেন। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার প্রতি যে মানবিকতা দেখানো হয়েছে তাকে বিতর্কিত করার জন্য প্রতিদিন বিএনপি নেতারা মানবিকতার দোহাই তুলেন। আপনাদের অমানবিক কাজগুলো মানুষের সামনে থেকে ঢেকে রাখার জন্য এ কথাগুলো বলে যান।,
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব আপনাদের কি মনে আছে কি মানবিকতা দেখিয়েছিলেন। আপনার নেতা জিয়ারউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করেছিলো আইন করে। তখন মানবিকতা কোথায় ছিলো আপনাদের। বিএনপির লজ্জা হওয়া উচিত মানবতার কথা বলার আগে। কিন্তু লজ্জা আপনাদের নেই। বিএনপি নেতারা মানবিকতার কথা বলছে। অভিযোগ করছেন সরকার নাকি মানবিক না। মির্জা ফখরুল সাহেব আপনারা মানিবকতার কথা যদি বলেন, তাহলে তো আপনাদের লজ্জায় মাথা হেট হওয়া যাওয়া উচিত। খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। বিএনপির বড় বড় আইনজীবীরা খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলো।,
বিএনপি খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রতিদিন চিৎকার করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু কোন যুক্তিতে, কোন আইনের বলে আপনারা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চাচ্ছেন, সে ব্যাখ্যা নেই। কয়েকদিন আগে মির্জা ফখরুল বলেছেন , খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মা ও প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। মির্জা ফখরুলের বাবা ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী । মির্জা ফখরুলও স্বাধীনতাবিরোধী ছিলো। এরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার জন্য আজকে স্বাধীনতা বিরোধীদের মুক্তিযোদ্ধা বানাতে চায়। বেগম খালেদা জিয়া কি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো? আমি আজকে মির্জা ফখরুলকে আহ্বান জানাবো এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ চলছিলো, সে সময় বেগম খালেদা জিয়া স্ব ইচ্ছায় ঢাকা সেনানিবাসে ছিলেন। সে সময় খালেদা জিয়াকে নিউমার্কেটে অনেকে শপিং করতে দেখেছে। তাকে এখন মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করে, অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করছেন। লজ্জা হওয়া উচ্চিত মির্জা ফখরুলের। ধিক্কার জানাই তার মানিসকতাকে।,
তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা বলছেন, তারেক রহমান নাকি শিশু মুক্তিযোদ্ধা ছিলো। আমরা অবাক হয়ে যাই। মানুষের মিথ্যাচারের একটি সীমা আছে। নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে ফখরুলরা। নির্লজ্জ মিথ্যাচার করাই এখন বিএনপি নেতাদের পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হঠাৎ করে আমাদের দুইটি সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জানিয়ে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমরা অবাক সেই সিদ্ধান্তে। কি করে আপনারা খুনি আশরাফুজ্জামানকে আশ্রয় দিয়েছে আমেরিকা। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নুরকে কিভাবে আপনারা রাষ্ট্রীয় আশ্রয়ে রেখেছেন। আপনারা একদিকে হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয় আশ্রয় দেবেন অন্যদিকে একটি রাষ্ট্রের সংস্থার প্রধানদের নিষেধাজ্ঞা দেবেন। এটাকে অনেকই গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করছে। এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতাদের খুশিতে তাদের বাকুম বুকুম শুরু হয়ে গেছে। মনে করেছে সরকার বুঝি এখনই চলে যাচ্ছে।,
Posted ১৬:০৬ | বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain