| সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের টর্চারসেলে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেন, দেশে ভিন্নমত প্রচারের ন্যূনতম স্বাধীনতা নেই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তির বিপক্ষে বুয়েটের আবরার যখন বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ায় তখন তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একই কারণে খুলনায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদ হারিয়েছেন একজন। অর্থাৎ এখন কথা বলা যাবে না, যদি না এটি সরকারের পক্ষে যায়।
তিনি আরও বলেন, নোংরা রাজনীতির চক্করে পড়ে মেধাবী ও অমেধাবী নির্বিশেষে ক্ষমতাসীন দলের অনেক ছাত্র নরপিশাচে পরিণত হয়েছে। আবরারকে নৃশংসভাবে সাত ঘণ্টা ধরে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে মারার পাশাপাশি তারা মেসেঞ্জারে ছবি ট্যাগ করেছে, রাতের খাবার খেয়েছে ও বার্সেলোনার খেলা দেখেছে। সেখানে ছাত্রলীগের আধিপত্যের নামে চলে দানবীয় অত্যাচার।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দলীয় কর্মী না প্রশাসক, তা বোঝা যাচ্ছে না । সেখানকার ভিসি আবরার হত্যা ৩৮ ঘণ্টা পর সামনে আসেন। পুলিশের প্রটেকশন নিয়ে তিনি আবরারের বাড়ি কুষ্টিয়ায় যান। সেখানে যাওয়ার পর দুই মিনিটে তার দোয়া শেষ করার নির্দেশনা আসে । হামলা করা হয় আবরারের ভাই ও পরিবারের ওপর। নৃশংস হত্যাকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসক কোনোভাবে দায়সারা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
Posted ২১:৫৩ | সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain