| বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
ঝামেলা হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে বিএনপিকে সভা সমাবেশের অনুমতি দিতে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার প্রশ্ন, ‘গ্যাঞ্জাম’ হতে পারে, এটা পুলিশ কীভাবে আগে থেকে জানবে?
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ার পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বিএনপি। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ অনুমতি দিতে চাইছে না বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
আর পুলিশের এই পূর্বানুমান করা নিয়েই আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের। বলেন, ‘গতকাল দিনাজপুরে পুলিশ সভা করতে দেয়নি। সকাল বেলা পুলিশ বলছে, সভা করতে দেয়া হবে না কারণ এখানে গ্যাঞ্জাম হবে। সব জ্যোতিষী।’
‘এর আগে ঠাকুরগাঁওয়েও বাধা দিয়েছিল। কিন্তু আমার ওখানকার নেতাকর্মীরা বলছে, ঢুকলাম পারলে গুলি করেন। খুলনা, বরিশালেও এমন করেছে।’
তবে নেতা-কর্মীরা একাট্টা থাকলে পুলিশ আর কিছু করে না বলেও জানান ফখরুল। বলেন, ‘নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থানের কারণে তারা সরে গেছে। যেখানেই প্রতিরোধ হচ্ছে সেখানেই পুলিশ সরে যায়।’
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান
আলোচনায় ফখরুল জনগণকে ‘জাগিয়ে তুলতে’ তাদের কাছে যাওয়ার তাগাদা দেন। আর এ জন্য সব দল নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ার আহ্বানও জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দেশে গণতন্ত্রও ‘বন্দী’ দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘শুধু বেগম খালেদা জিয়াকে নয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রকেও মুক্ত করতে হবে।’
‘সেজন্য গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি করে সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে। তাই আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। তাদেরকে জাগিয়ে তুলতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় কোনো নির্বাচন হবে না। তাই সব রাজনৈতিক দলের কাছে আহ্বান থাকবে আসুন অন্তত একটি ইস্যুতে একমত হই। এই একটি ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য হওয়া প্রয়োজন।’
বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তাকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছি। অবশ্যই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করারও সমালোচনা করেন ফখরুল। বলেন, ‘তারা (আন্দোলনকারীরা) কোটা সংস্কার চেয়েছে, বাতিল চায়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা বাতিল করে দিলেন। এটা তিনি করতে পারেন না। এটা অনৈতিক। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জানেন পরে এটা আদালতে গেলে টিকবে না।’
ফখরুলের অভিযোগ, কোটা আন্দোলনের তিন নেতাকে আটক করে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে আন্দোলনের মুখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমার দেশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
Posted ১৫:৩১ | বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain