| শনিবার, ৩০ জুন ২০১৮ | প্রিন্ট
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ফাঁকা রাস্তায় চলতে সবাই ভয় পায়। তাই আপনাদের একটা রুপ পাল্টাতে হবে পদ না খুঁজে, পথ খুঁজতে হবে। পথ খুঁজে ফেলে আপনাদের পদ, সম্মান, গণতন্ত্র, নেত্রী সবেই মিলবে। শুধু পদ পদবী খুঁজে নিজেকে বড় করতে চাইলে মানুষের কাছে ছোট হবেন। দেশটা আপনাদের আপনাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনারা বের হয়ে আসেন আপনাদের দাবি আদায়ের জন্য। যদি আসেন আমাদের বসে থাকার কোন সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, অাজকের সময়টা অনেক কঠিন। যা করার তরুণ যুবকদের করতে হবে। অাগামী দিনগুলোতে কী হবে তা নির্ভর করছে অাজকের দিনগুলোর উপর। তাই পদ নিয়ে বসে না থেকে রাজপথে নামতে হবে। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া থাকবে কিনা তা তরুণ ও যুবকদের ঠিক করতে হবে। রাজপথে রক্ত ঝড়াতে হবে। না হলে কিছুতেই গণতন্ত্র পূর্ণপ্রতিষ্ঠা করা যাবে না। গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। গণতন্ত্র মানে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বন্দি তো গণতন্ত্র বন্দি।
শনিবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় নাগরিক মঞ্চ ব্যানারে অায়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, অাওয়ামী লীগ জানে তারা ক্ষমতা হারালে এদেশে শুধু নয় পৃথিবীর কোথাও তাদের ঠাই হবে না। তাদের অবস্থা রোহিঙ্গাদের মতো হবে। বাংলাদেশের চারপাশে যাদের সিমানা অাছে। সে দেশে অাওয়ামী লীগকে পায়ে হেঁটে অবস্থান নিতে হতে পারে।
তিনি বলেন, ভয় থেকেই দেশে একক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। তারা এভাবেই সামনে এগোতে চায়। তাই ভোটের মাঠে ও রাজনীতিতে কাউকে সুযোগ দিতে চায় না। কারণ সবসময় তাদের মনে চরম ভয় কাজ করে।
সহজ কথা যায় না বলা সহজে, কবিতার ভাষা বিএনপির এ নেতা গয়শ্বের বলেন, শেখ হাসিনা অার গণতন্ত্র একসাথে যায় না। ক্ষমতায় শেখ হাসিনা মানে বাকশাল ও স্বৈরতন্ত্র। এদেশে যা হয়েছে বা হবে। তা শেখ হাসিনার ইচ্ছেই হচ্ছে। কতো টাকা দুর্নীতি হয়েছে। পর্দার অাড়ালে যে গুম খুন হয়েছে। সব কিছু তার ইচ্ছায়।
তিনি বলেন, এদের থেকে ভাল অাশা করা যায় না। যারা ১৫৪ সংসদ সদস্য বিনা ভোটে এমপি হয়ে বসে অাছে। তাদের কথায় তো এলোমেলো বলবেই। তারা তো অস্বাভাবিক ব্যবহার করবেই। এখন বিএনপির খারাপ সময় যাচ্ছে। তাই বলে অাওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন কথা বলছেন।
তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি। তাদের নিজ দলের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৬৬ সালে অাওয়ামী লীগেরও এমন অাবস্থা ছিল তখন। অাওয়ামী লীগের নেতাদের বাতি দিয়ে খুঁজে পাওয়া যেত না। অামেনা বেগম নামের এক নারী তখন অাওয়ামী লীগের অফিসে মোমবাতি জ্বালিয়ে বসে থাকতেন।
Posted ১৫:৪৯ | শনিবার, ৩০ জুন ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain