| সোমবার, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ভোলা-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি একটি অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে জন্ম নিয়েছিল। সামরিক স্বৈর শাসনের মধ্যে একটি দল হয়েছিল। সেই দল টিকতে পারে না। আস্তে আস্তে সেই দল সহিষ্ণু পথে এগিয়ে চলছে। আর আওয়ামী লীগ যে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল তা গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে আবার প্রামণিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার জংশন ও পরানগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সংখ্যা যতই কম হউক বিএনপির সংসদে আসা উচিত। সত্তরের নির্বাচনের পর সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত একাই সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদ মাতিয়ে রেখেছেন। তাই বিএনপির ঐক্যফ্রন্টের ৮জন সংসদ সদস্য আছে তারা সংসদে আসুক, কথা বলবে। সত্তরের নির্বচানের পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন একজনও যদি ভালো কথা বলে আমি তা সমর্থন করব। এর পরও যদি বিএনপি সংসদে না আসে তাহলে আরেকটি ভুল করবে।
নতুন মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে আওয়ামী লীগের এ জৈষ্ঠ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে সুন্দর একটি নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেছেন। যারা রাজনৈতিক জীবনে কষ্ট করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার স্বীকৃতির জন্য এ নতুন মন্ত্রী সভা হয়েছে। আমরা যারা পুরনো আছি তারা অনেকবার মন্ত্রী ছিলাম। আর নতুনদের জন্য তো জায়গা করে দিতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী নতুনদের জায়গা করে দিয়েছেন সেটা আমিও সমর্থন করি।
তিনি আরও বলেন, এবার সুন্দর একটি নির্বাচন হয়েছে, এ নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু বিএনপি টাকার বিনিময়ে ভালো প্রার্থীকে বাদ দিয়ে লন্ডনে বসে প্রার্থী দিয়েছে। যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছে গ্রামগঞ্জের মানুষের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। গত ১০ বছরে তারা এলাকায় যায়নি। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বচানে আসেনি। সুতরাং তারা নির্বাচন নিয়ে যত কথাই বলুক বাংলাদেশের মানুষ তা গ্রহণ করবে না। তারা (বিএনপি) এখন জাতীয় সংলাপের কথা বলে। বিএনপি যতই পুনঃনির্বাচনের কথা বলুক তা বাস্তব সম্মত নয় বলেও জানান এ প্রবীণ নেতা।
এসময় তোফায়েল আমমেদ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে নগদ অর্থ এবং টিন বিতরণ করেন। পরর্বর্তীতে তাদেরকে আরও অর্থিক সহযোগীতা দেয়ার কথাও বলেন তিনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
Posted ১৬:৫৪ | সোমবার, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain