একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দ্বিতীয়দিনের মতো সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়েছে।

সোমবার  সকাল ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎকার শুরু হয়। দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাই এ বোর্ডের সদস্য।

আজ বরিশাল ও খুলনা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করায় দলের মহাসচিব এই দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি বছর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পার্লামেন্টারি বোর্ডে সভাপতিত্ব করলেও এবারই প্রথম সাবেক প্রধানমন্ত্রী দলের চেয়ারপার্সন কারান্তরীণ হওয়ার পার্লামেন্টারি বোর্ডে অনুপস্থিত।

সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রথমদিনে রোববার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও পার্লামেন্টারি বোর্ডে ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ওইদিন রংপুর বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

সূচি অনুযায়ী, ২০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম বিভাগের সাক্ষাৎকার হবে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩টা থেকে কুমিল্লা ও সিলেট বিভাগের সাক্ষাৎকার শুরু হবে।

২১ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হবে ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের এবং বিকাল ৩টা থেকে ঢাকা বিভাগের সাক্ষাৎকার শুরু হবে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের সময় অনুসারীদের আনতে নিষেধ করেছে বিএনপি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত ১২ নভেম্বর থেকে শুরু করে শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীক পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছে ফরম বিক্রি করে বিএনপি।

প্রথম দিনে সোমবার আট বিভাগে মোট ১৩২৬টি মনোনয়ন ফরম, দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বিক্রি হয় ১৮৯৬টি ফরম, তৃতীয় দিনে ৪৮৮টি, চতুর্থ দিনে ৪০২টি এবং শেষ দিনে ৪৬৮টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়।

এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দল থেকে বলা হয়, বিভাগভিত্তিক সাক্ষাৎকারের সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের সমর্থকদের সঙ্গে আনতে পারবেন না। এ নির্দেশনা না মানলে তা প্রার্থীর অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।

সাক্ষাৎকারের সময় সংশ্লিষ্ট মহানগর ও জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত থাকবেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আবেদন ফরম জমার রশিদ সাক্ষাতকারের সময় সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।