| সোমবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশনে আসীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের অত্যাচারী মেশিন ছাড়া আর কিছুই নয়। সে জন্য দুদকবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করতে গিয়ে বেপরোয়া অনাচারে লিপ্ত থেকে মনুষ্যত্বহীনতার ডালপালা বিস্তার করেছে।আর এতে নির্দোষ-নিরীহ-নিরাপরাধ মানুষও দুদকের করা মিথ্যা মামলার অমানবিকতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
দুদকের ভুলে পাটকল শ্রমিক জাহালমের তিন বছর কারাভোগের ঘটনায় দেশে ক্রিমিনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছবিই ভেসে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।
সোমবার ৪ (ফেব্রিুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেনে এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভুয়া ভোটের সরকারের চাহিদা মেটাতে গণতান্ত্রিক শক্তিকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি করতে দুদক উদ্ভ্রান্ত উগ্রতা নিয়ে কাজ করছে।আর সেটির নির্মম শিকার হয়েছেন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।এ ধরনের নির্বিচারে মামলার ধারাবাহিকতায় প্রকৃত অপরাধীকে বাদ দিয়ে নিরীহ যুবক জাহালমকে আটকে রাখা হয় কারাগারে।
তিনি বলেন, বিরোধী শক্তিকে দমন করতে আওয়ামী অবৈধ গোষ্ঠীর একটি হাতিয়ার হলো বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন।এই দুদক আইনি নিয়মকানুন কিছুই না মেনে আওয়ামী সরকারের শীর্ষ ব্যক্তির নির্দেশে দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রাখতে মামলা সাজিয়েছে।
দুদকের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, দুদক ভুয়া ভোটের সরকারের১০ বছরে মেগাদুর্নীতির কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি। যদি করতেই পারত, তবে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-উপদেষ্টা ও নেতা, যাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, তারা আজকে প্রবল প্রতাপে দেশব্যাপী দাপিয়ে বেড়াতে পারতেন না।দেশের বাইরে বেগম পল্লী ও সেকেন্ড হোম গড়ে উঠত না। নিউইয়র্কে মন্ত্রীর পুত্রের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থাকত না। সাবেক অর্থমন্ত্রী চার হাজার কোটি টাকা চুরিকে দুর্নীতি বলতে নারাজ হতেন না।
রিজভী বলেন, দুদকের কারণেই দেশে ক্রিমিনাল ইকোনমির আশকারা পেয়ে পত্র-পল্লবে বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। জাহালমের দীর্ঘদিন কারাভোগের ঘটনায় দুদকের ভূমিকা নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক।
তিনি বলেন, এ দুদকই সরকারের নির্দেশে বেগম জিয়াকে অন্যায় মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করেছে। তবে দুদক সরকারের অর্থ লোপাটকারী আর দুর্নীতিবাজদের স্পর্শও করতে পারছে না। এক দেশে দুই নীতি দুদকের।
Posted ১৫:০৫ | সোমবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain