নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
এ দু পিআইসি নিয়ে উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ভাটিধল গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুল হাই জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।
সরেজমিনে এ দুই পিআইসিতে গিয়ে দেখা যায়, অক্ষত বাঁধকে কোদাল দিয়ে কেটে সমান করা হয়েছে ক্লোজারে এলোপাতাড়ি ভাবে বড় বড় মাটির চাকা ফেলে রাখা হয়েছে। ইতো মধ্যে দুই কিস্তর টাকাও উত্তোলন করেছে কমিটি। হঠাৎ করে বাঁধে কাজ বন্ধ করা হলে এলাকার মানুষ বাঁধের কাজ যতাসময়ে শেষ করার জন্য পিআইসিকে চাপ দেয়।
গ্রামের সাদিকুল ইসলাম জানান, বাঁধের কাজ করার কথা বলায় আমাদের গ্রামের কিছু মানুষের নামে চাঁদাবাজির মামলা করার হুমকি দিয়েছে পিআইসির লোকজন।
২৭ নং পিআইসির সভাপতি জানান আমি অসহায়। আমার নাম দিয়ে আমাকে বিপদে ফেলানো হয়েছে। আমি এসও সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেও কোন উত্তর পাচ্ছিনা। গ্রামের মানুষ কাজ শেষ করার জন্য বলছেন, কিন্তু যিনি এ কাজের মালিক তিনি কাজ করতে দিচ্ছেন না।
সাবেক মেম্বার রিহান উদ্দিন বলেন, টাংনীর হাওরের ২৭ ও ২৮নং প্রকল্পের কাজটি সঠিক ও নির্দিষ্ট স্থানে না করে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর যোগ সাজসে প্রকল্প চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট স্থান হইতে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বাঁধের কাজ করার পরিকল্পনা করছেন। উক্ত স্থানে বাঁধ করা হলে আমাদের পাড়া।
২৭ ও ২৮ নং পিআইসির কাজ দ্রুত শেষ করার দাবীতে আগামীকাল রোববার বিকেল তিনটায় বাঁধ এলাকায় কৃষক সমাবেশের ডাক দিয়েছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন দিরাই উপজেলা কমিটি ও স্থানীয় কৃষকরা।
এ বিষয়ে পাউবোর দিরাই দায়িত্বপ্রাপ্ত এসওর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ দুটি বাঁধে মাটি ধসে যাচ্ছে তাই নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে আজ সয়েল টেস্ট হয়েছে আগামীকাল ঢাকায় হয়তো সিদ্ধান্ত হবে। ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু হয়ে এখন শেষ করা যায়নি তাহলে নতুন প্রকল্প নিলে তা শেষ হবে কবে? তিনি বলেন ৭-৮ দিনেই শেষ করে দেব।
Posted ১৬:০০ | শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin