| রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
এস.এম.জুবাইদ, পেকুয়া : থাই পেয়ারা চাষ করে দিন বদলের স্বপ্ন দেখেছেন নবী হোছাইন নামের এক কৃষক। সে কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার বদিউল আলমের পুত্র। থাই পেয়ারা চাষ করে সফলতা অর্জনে ছুটে চলছেন তিনি। সেই সফলতা অর্জন করতে ও দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই জমিতে লাগান ৫ শতটি থাই পেয়ারার চারা। সেই চারা ২২৫ টাকা করে চুয়াডাঙ্গা থেকে কিনে এনেছিলেন। বর্তমানে পেয়ারা বাগানে থাই পেয়ারা গাছে গাছে ফুটেছে অনেক ফুল ও আবার দেখা মেলে অনেক গাছে গাছভর্তি পেয়ারা। প্রতিটি পেয়ারার ওজন ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম।
বাগানে ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকরা গাছের পরিচর্যা করছেন। গাছের পরির্চযা করতে ব্যস্থ সময় পার করছেন শ্রমিক ও বাগানের মালিক। এসময় কথা হয় বাগানের শ্রমিক মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। সে বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পেয়ারা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়েছে। তাঁর মতো আরও ৮-১০ জন এই বাগানে কাজ করেন। এখানে কাজ করে পরিবারের খরচ যোগান দেন তাঁরা।
বাগানের মালিক কৃষক নবী হোছাইন বলেন, ‘পেকুয়ায় প্রথম আমি থাই পেয়ারার চাষ করেছি। উপকূলীয় এই পরিবেশে এই জাত খাপ খাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ঝুঁকি নিয়ে সফল হয়েছি। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। এখন প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। আমি অত্যন্ত খুশি। তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে মূলধন উঠে আসবে। বাগানে এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত পরিবেশে নতুন জাতের চাষ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে থাই পেয়ারা চাষে কৃষক নবী হোছাইনের সফলতা অন্য কৃষকদের মুগ্ধ করেছে। মাঠ প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব সহায়তা আমরা করেছি। সঠিক পরিচর্যা পেলে তাঁর গাছগুলো অন্তত ১০-১২ বছর ফলন দেবে। এই থাই পেয়ারা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বাজারমূল্যও ভালো। এই চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন পরামর্শ নিতে।
Posted ২১:৩৬ | রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin