| সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ বিজ্ঞান ও কারিগরি ইন্সটিটিউটে জাল সনদের ছড়াছড়ি। শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানিয়েছেন। খুলনা দুদক অফিস থেকে একটি তলবি চিঠি প্রতিষ্ঠানে এসেছে বলে তারা আরো জানান।ঝিনাইদহ বিজ্ঞান ও কারিগরি ইন্সটিটিউটে ৬ জন জাল সনদে চাকুরী করছেন। এদের কেহই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। সবাই জেনারেল থেকে পাশ। তবে বিভিন্ন প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নাম,ঠিকানা ও প্রশিক্ষন সনদের সিরিয়াল নং রেজিষ্টার বহিতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু জাল প্রশিক্ষন সনদে সবাই চাকুরী করে যাচ্ছে। আবার মন্ত্রনালয় থেকে অডিট এলে টাকার বিনিময়ে অডিট রিপোর্ট বদলে ফেলছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান। গত অডিটে সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় অডিট রিপোর্ট দফারফা হয়।
৩ জন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ও ২ জন ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট ও ১ জন সহকারী লাইব্রেরীয়ানের প্রশিক্ষন সনদ জাল রয়েছে। এদের মধ্যে কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর মোঃ আব্দুল কাদের যার এমপিও ইনডেক্স নং- ১০১০১৩৯, ওয়েল্ডিং ইন্সট্রাক্টর মোঃ আব্দুল মজিদ যার এমপিও ইনডেক্স নং-১০২৯৫১৩, ড্রেস মেকিং ইন্সট্রাক্টর আরিফা খাতুন যার এমপিও ইনডেক্স নং-১০১০১৪৪, সহকারী লাইব্রেরীয়ান মোছাঃ মরিয়ম নেছা যার এমপিও ইনডেক্স নং-১০২৮৭৫৩, ইলেকটিক্যালের ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট মোঃ ওয়াজ্জেল হোসেন যার এমপিও ইনডেক্স নং-১০১০১৪৭, বিল্ডিং ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট মোঃ সাইদুর জামান যার এমপিও ইনডেক্স নং- ১০৩৮০৩৫।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে খুলনা দুদক থেকে ইলেকটিক্যালের ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট মোঃ ওয়াজ্জেল হোসেন ও বিল্ডিং এর ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট মোঃ সাইদুর জামানের নামে একটি তলবি চিঠি আসে। এই দুই জনের সনদ নিয়ে ৪ এপ্রিলের মধ্যে দুদুকে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু এই তলবি চিঠিকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে প্রতি ষ্ঠানের দুই ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট ও সুপারিটেনডেন্ট দুদুকে যাননি বলে শিক্ষকরা জানান।ঝিনাইদহ বিজ্ঞান ও কারিগরি ইন্সটিটিটের সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জাল সনদের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলেননি।
Posted ০৭:৩৮ | সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin